ভারতে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭

| আপডেট :  ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১০  | প্রকাশিত :  ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১০


ভারতে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নারী-শিশুসহ কমপক্ষে ১০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

২ জুলাই, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাতরাশ এলাকায় মর্মান্তিক ওই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

জানা গেছে, রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাতরাস জেলার সিকান্দ্রারাউ এলাকার রতিভানপুর গ্রামে তাঁবু টানিয়ে আয়োজিত ‘সৎসঙ্গ’ (প্রার্থনা সভা)’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। পরে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে মানুষেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে শুরু করে। এসময় পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, বাস এবং টেম্পোতে করে নিহতের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে বহন করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, আয়োজনটি যে সময়ে চলছিল তখন প্রচণ্ড গরম ছিল। অনুষ্ঠানস্থলে অনেক মানুষ থাকায় একপর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর অনেক মানুষ একসঙ্গে সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।

ইন্সপেক্টর জেনারেল (আলীগড় রেঞ্জ) শলভ মাথুর বলেন, এটি ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া কয়েকজন জানিয়েছেন, সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পর সবাই একসঙ্গে বের হওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করায় এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, পদদলনের ঘটনা ঘটে হাথরসের একটি প্রার্থনা সভায়। স্থানীয় কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাস এবং ট্যাম্পুতে করে অনেকের নিথর দেহ নিয়ে আসা হয়েছে। ওই সময় তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কান্নাকাটি করছিলেন।

এ ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।

দুর্ঘটনার বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের ইতাহ জেলার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উমেশ কুমার ত্রিপাটি শুরুতে ২৭ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের ব্যবধানেই এই সংখ্যাটি দ্রুত বাড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় আহত অনেকেই এখন হাসপাতালে আছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে ইতাহের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশুও রয়েছে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত