মঞ্চে আবার আসছে দেশ নাটকের সাড়া জাগানো ‘নিত্যপুরাণ’

| আপডেট :  ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪২  | প্রকাশিত :  ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪২


মঞ্চে আবার আসছে দেশ নাটকের সাড়া জাগানো ‘নিত্যপুরাণ’

বিবার্তা প্রতিবেদক


মঞ্চে আবার আসছে দেশ নাটকের সাড়া জাগানো ‘নিত্যপুরাণ’। আগামী ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ মঞ্চে হবে নাটকটির ১২৭তম প্রদর্শনী।

মহাভারতের একলব্য আখ্যান উপজীব্য করে মাসুম রেজা রচনা করেছেন ‘নিত্যপুরাণ’। নাট্যকার নির্দেশিত এ নাটকে অভিনয় করেছেন মামুন চৌধুরী রিপন, সুষমা সরকার, আসিফ হাসান, হাফিজ রেদু, কামাল আহমেদ, ফিরোজ আলম, হোসাইন নিরব, সালমান লিমন, মাইনুল হাসান মাঈন, সুস্মিতা সাহা, মেঘলা মায়া, কাজী লায়লা বিলকিস, ইসমেত্ জেরিন প্রমুখ।

মামুন চৌধুরী রিপন বলেন, ‘আমি মনে করি মাসুম রেজা রচিত ও নির্দেশিত ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকটি বাংলাদেশের থিয়েটারে এক অসামান্য সৃষ্টি। তেমনি একলব্য যে কোনো অভিনেতার জন্য খুবই লোভনীয় একটি চরিত্র। প্রয়াত দিলীপ চক্রবর্তী দাদা যখন এ চরিত্রটি করতেন, ওনার অভিনয় মুগ্ধ হয়ে দেখতাম। আর ভাবতাম– আহা এ চরিত্রটি যদি আমি জীবনে কোনোদিন করতে পারতাম, তাহলে আমার চাওয়া-পাওয়া বলতে অভিনয়ে আর কিছুই থাকত না। আমি স্বপ্নের সেই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। একলব্য করার পর আমার মনে হয়, জীবনে মঞ্চে আর কোনো চরিত্রে অভিনয় না করলেও চলে। কতটুকু পারছি সেটা দর্শকই মূল্যায়ন করবেন। তবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

সুষমা সরকার বলেন, ‘নিত্যপুরাণ আমার খুব পছন্দের একটি নাটক। এর প্রতিটি সংলাপ আমাকে আলোড়িত করে। চরিত্রের গাঁথুনি এবং মানুষ যে তার নিয়তিকে খণ্ডাতে পারে না তা কী দারুণভাবে মাসুম ভাই এখানে তুলে ধরেছেন! মহাভারতের একলব্য আখ্যানকে তুলে এনে তিনি একলব্যকে অন্য এক উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছেন এবং দ্রৌপদীর নারী সত্তাকে দারুণভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সব মিলিয়ে দ্রৌপদী আমার খুবই পচ্ছন্দের একটি চরিত্র।’
 
‘নিত্যপুরাণ’ সম্পর্কে নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, ‘একলব্য আখ্যান মহাভাতের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু একলব্যের এই অতি ক্ষুদ্র মর্মগাথার যে অন্তর্গত সত্য ও শক্তি তা মহাভারতের ব্যাপকতাকেও যেন ছাপিয়ে যায়, এ বোধ আমার একান্ত নিজের। মহাভারত পাঠকালে একলব্যকে আমার খুব কাছের মানুষ বলে মনে হয়েছে। মনে হয়েছে এ যেন আমি, এ যেন আমরা, সাধারণ মানুষ। একলব্যকে আমার দেখতে ইচ্ছে হয়েছে অন্যভাবে, পাণ্ডব কিংবা কৌরবদের চেয়েও কুশলী বীররূপে। আমার রচনা এবং তাকে মঞ্চে নাটক হিসেবে গড়ে তোলার কাজে আমি সর্বতোভাবে সে চেষ্টাই করেছি।’

নিত্যপুরাণের আলোক পরিকল্পনা করেছেন নাসিরুল হক খোকন, আলোক সহযোগী ফারুক খান টিটু, সেট পরিকল্পনা করেছেন কামাল উদ্দিন কবির, সুর ও সংগীত নির্দেশনায় নাসিরউদ্দিন শেখ, প্রপস– প্রাণ রায়, পোশাক পরিকল্পনায় শাহনেওয়াজ কাকলী, রূপসজ্জা পরিকল্পনায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়, কোরিওগ্রাফি করেছেন মো. আমানুল্লাহ আমান ও বাকার বকুল, আবহ সংগীত ইমামুর রশিদ খান। প্রযোজনা অধিকর্তা এহসানুল আজিজ বাবু।

বিবার্তা/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত