মহাসমাবেশ কর্মসূচি বাতিল করেছে সরকারি কর্মচারীরা

| আপডেট :  ৩১ মে ২০২২, ১০:৪৩  | প্রকাশিত :  ৩১ মে ২০২২, ১০:৪৩

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আগামী ৩ জুন (শুক্রবার) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রতিনিধি সভা করার কথা জানিয়েছে সরকারি কর্মচারী দাবি বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরাম।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবী বাস্তবায়ন ঐক্য ফোরামের সমন্বয়ক মো. আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ৩ জুন সকাল ৯টায় এ প্রতিনিধি সভা শুরু হবে। এর আগে গত ২২ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলো ঐক্য ফোরাম।

ফোরামের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে কর্মচারীদের ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ২৯ ও ৩০ মে ফোরামের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দাবী বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে আগামী ০৫ জুন আনুষ্ঠানিক আলোচনার বিষয়েয় প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।

প্রতিমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আলোকে এবং ৩ জুন তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, বিরূপ আবহাওয়া ও জনদূর্ভোগ এড়াতে কর্মসূচির সময় ঠিক রেখে স্থান পরিবর্তন করে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হলে মহাসমাবেশ এর পরিবর্তে প্রতিনিধি সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো:
১. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত ১৯৭৩ সনের জাতীয় বেতন স্কেলের অনুরূপ ১০ (দশ) ধাপ বিশিষ্ট বেতন স্কেল নির্ধারণ-পূর্বক ৬ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের ব্যয় বিবেচনায় সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা করতে হবে এবং এ উপলক্ষ্যে নৰ্ম জাতীয় পে-কমিশন গঠন করতে হবে। নবম পে-স্কেল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদেরকে ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে, শতভাগ পেনশন প্রদান, স্বেচ্ছায় অবসরে চাকরির বয়সসীমা ২০ বছর নির্ধারণ এবং আনুতোষিক প্রতি ১ টাকায় তিনশত টাকা নির্ধারণ করতে হবে এবং পে-কমিশনে কর্মচারীর প্রতিনিধি রাখতে হবে।

২. সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাইরে সকল দপ্তর/অধিদপ্তরে কর্মরত কর্মচারীদের পদবী ও গ্রেড পরিবর্তনসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে প্রথম শ্রেণী ও সহকারী শিক্ষকদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণী কর্মকর্তার পদমর্যাদা ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।

৩. ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার, পদোন্নতিযোগ্য পদ শূণ্য না থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর উচ্চতর পদের বেতন স্কেল প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকে যৌক্তিকভাবে ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে এবং আউট সোর্সিং নিয়োগ প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে।

৪. ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ৫% এর পরিবর্তে ২০% এ উন্নীত করেতে হবে। টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড, টেকনিক্যাল কর্মচারীদের জন্য দুটি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট পুনর্বহাল। এলাকা ভেদে ৭০% হতে ১০০% হারে বাড়িভাড়া ভাতা, সামঞ্জস্যপূর্ণ চিকিৎসা ভাতা, টিফিন ভাতা, যাতায়াত ভাতা প্রদান করতে হবে।

৫. ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদেরকে বিনাসুদে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা গৃহঋণ সুবিধা ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল বাবদ প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে।

৬. উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের চাকরি শুরু থেকে গণনা, অযাচিত ২০% হারে পেনশন কর্তনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের জন্য সকল নিয়োগে ৩০% পোষ্য কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। অফিসার্স ক্লাব, বিএমএ, কেআইবি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মতো চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য রাজধানীতে একটি কর্মচারী কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে।

৭. সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর এবং অধঃস্তন
আদালতে কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত