মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজের নিরাপত্তায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মোংলা বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙরে অবস্থানরত বিদেশি জাহাজের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে বন্দর এলাকায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তৎপর রয়েছে দুই বাহিনীর সদস্যরা। বন্দর ভবন ও জেটি এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে নৌবাহিনী। এছাড়াও চালনা থেকে মোংলা বন্দরের বহির্নোঙর পর্যন্ত কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একাধিক কন্টিনজেন্ট বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তায় নদীপথে স্পিডবোটে টহল কার্যক্রম চলমান রেখেছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর দুর্বৃত্তদের লুটপাট নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় নৌবাহিনী কোস্টগার্ডের একাধিক কন্টিনজেন্ট। বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সকল কর্মচারীদের জেটি, কার ইয়ার্ড এবং কনটেইনার ইয়ার্ডে নিয়োজিত করা হয়। বর্তমানে বন্দরে অবস্থানরত সবগুলো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বোঝাই কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্দরে মোট ২৩টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে। প্রতিদিনই ৩-৪টি জাহাজ বন্দরে আসছে। আমদানি রপ্তানিকারকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে বন্দরের কয়েকটি দপ্তরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হচ্ছে। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদর দপ্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসির ইবনে মহসীন বলেন, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এবং নদীপথে বিভিন্ন লাইটার জাহাজে চুরি ও অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে টহল জোরদার করা হয়েছে। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের আওতাধীন গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন: মোংলা বন্দরের পাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, খুলনা শিপইয়ার্ড, মোংলা ইপিজেড এবং মোংলায় অবস্থিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন। এছাড়া খুলনা ও মোংলা উপকূলবাসীর যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা দেখা মাত্রই কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন কন্ট্রোলরুমে (০১৭৬৯-৪৪৪৯৯৯) যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বিবার্তা/জাহিদ/এমজে
মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজের নিরাপত্তায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
সারাদেশ
মোংলা প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত