যুদ্ধবিরতি বিলম্বে ইসরায়েলকে দায়ী করল হামাস

| আপডেট :  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৭  | প্রকাশিত :  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৭


যুদ্ধবিরতি বিলম্বে ইসরায়েলকে দায়ী করল হামাস

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


গাজায় যুদ্ধবিরতিতে বিলম্বের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মূলত গাজায় ইসরায়েলের অভিযান চলছে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় নানামুখী আলোচনা চললেও এখনও তা সম্ভব হয়নি।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অর্জনে অগ্রগতির না হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন বলে স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

হানিয়াহ শনিবার বলেছেন, গাজায় সংঘাত সম্পূর্ণ বন্ধ, গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনাদের প্রত্যাহার এবং অন্যায় অবরোধ তুলে নেওয়ার চেয়ে কম কিছু মানবে না হামাস।

তিনি আরও বলেছেন, ‘এটা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট যে, দখলদাররা (ইসরায়েল) আমাদের জনগণের স্বার্থের বিষয়ে কৌশল অবলম্বন করছে এবং বিলম্ব করে চলেছে। অন্যদিকে তাদের অবস্থান প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে আটক বন্দিদের মুক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।’

তিনি বলেন, যে কোনও আসন্ন বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ইসরায়েলকে অবশ্যই দীর্ঘ সাজা ভোগ করা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

এদিকে শনিবার এক বক্তৃতায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের দাবিগুলোকে ‘ভ্রমপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, বন্দিদের মুক্তির জন্য নতুন কোনও চুক্তি ‘খুব কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে না’।

তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুরোধে ইসরায়েল কায়রোতে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য আলোচকদের পাঠিয়েছিল। কিন্তু তারা আরও বিস্তৃত আলোচনায় ফিরে যায়নি কারণ হামাসের দাবিগুলো ‘ভ্রমপূর্ণ’।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সাথে একটি রাষ্ট্রীয় চুক্তির বিষয়ে ‘আন্তর্জাতিক হুকুম’ মেনে নেবে না। তার দাবি, শুধুমাত্র পূর্বশর্ত ছাড়াই সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে এমন লক্ষ্যে পৌঁছানো যেতে পারে।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় চালু থাকা বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র নাসের হাসপাতালে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এবং সেনাবাহিনী শনিবার জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘দখলদার বাহিনী নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের মধ্যে প্রচুর সংখ্যক মেডিকেল স্টাফ সদস্যকে আটক করেছে এবং এই স্থাপনাটিকে তারা (ইসরায়েল) একটি সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে।’

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এবং অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে কমপক্ষে পাঁচজন রোগী মারা গেছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার ঘোষণা করে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা নাসের হাসপাতালে যোদ্ধাদের সন্ধান করছে এবং এখন পর্যন্ত হাসপাতাল প্রাঙ্গন থেকে ১০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের দাবি, তারা হাসপাতালের কাছে যোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং এর ভেতরে অস্ত্র খুঁজে পেয়েছে।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত