রফতানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

| আপডেট :  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২২  | প্রকাশিত :  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২২


রফতানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

অর্থ-বাণিজ্য

বিবার্তা প্রতিবেদক


আগামীতে রফতানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই ডাইভারসিফাড প্রোডাক্টগুলোকে প্রমোট করা। সহজ ভাষায় বললে, বিদেশে যদি একটি শপিং মল থাকে, তাহলে সেখানে যেমন বাংলাদেশের গার্মেন্স পণ্য থাকতে পারে একভাবে চামড়া জাত পণ্যসহ আমাদের তৈরি ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যও থাকতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশে সাপ্লাই চেইন ভালোভাবে তৈরি হয়েছে। আর এখানে আমরা যদি বাকি প্রডাক্টগুলো আনি তাহলে রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ মাত্রা ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিকেলে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৪ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাপনী অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেলার উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেছেন এবং বিভিন্ন পণ্য কিনেছেন। যা আমাদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে। প্রধানমন্ত্রী বর্ষ পণ্য হিসেবে হস্তশিল্পকে প্রাধান্য দিয়েছেন। প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি আমাদের বাংলাদেশ কূটনীতির পাশাপাশি বাণিজ্য কূটনীতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

সামনের দিনে হস্তশিল্পকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বাণিজ্য মেলায় আমরা হস্তশিল্পের জন্য একটি আলাদা বিশাল আকৃতির স্টল প্যাভিলিয়ন করবো।

আগামী বছর দ্বিতলা বিশিষ্ট বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেলা প্রাঙ্গণের নিচ তলায় স্টলগুলো থাকবে। আর দোতলায় কনফারেন্স হলে, ব্যবসায়ীদের আরও বেশি দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন রকমের বিজনের কনফারেন্স বা সেমিনারের ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যে আমরা এক প্রকার ডাইভারসিফিকেশনের ব্যবস্থা করবো।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, আমরা বৈদেশিক মুদ্রার চাপে আছি। আগে যেমন একটা বিষয় ছিল নিজের পণ্য নিজে তৈরি করবো কোথাও যাব না। কিন্তু বিষয়টা বর্তমানে কাজ করে না। মানুষের ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। তারা তাদের পছন্দ মতো পণ্য ব্যবহার করে। সেজন্য জনগণের কল্যাণে পণ্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। আমাদের ব্যবসায়ীরা যদি রফতানির পরিমাণ বাড়াতে পারে তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।

আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যগুলোকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কারখানাগুলোকে আপগ্রেডেশন করা প্রয়োজন আছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, একই সঙ্গে আমাদের পণ্যগুলোকে আন্তর্জাতিক মানের করে তৈরি করতে হলে দেশের কারখানাগুলোকে আরও বেশি আধুনিক ও আপগ্রেডেশনের প্রয়োজন আছে। তাহলেই আন্তর্জাতিক বাজারে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পরব।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামীতে ৩-৫ দিনের জন্য প্রকৃত পক্ষে আন্তর্জাতিক মানের মেলার আয়োজন করা হবে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। তিনি বলেন, মাসব্যাপী এই মেলা লাখো দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত ছিল। যে সকল প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মেলায় অংশ নিয়েছিল তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই মেলাকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করেন ব্যবসায়ীরা। যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যের প্রচারণা চালায়। সময়ের চাহিদায় বাণিজ্য মেলা একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী গত এক মাসে প্রমাণ করেছে তিনি একজন সফল মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে দেশের বাণিজ্যে পরিমাণ অনেক বাড়ে। বাণিজ্য মেলার মাধ্যমে আগামী দিনে ব্যবসায়ীরা দেশের রফতানির পরিমাণ বাড়াবে এই আশা করছি। আমদানি কমিয়ে যদি রফতানির পরিমাণ বাড়ানো যায় তাহলে দেশ অনেক উন্নত হবে, ব্যবসার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।

বিবার্তা/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত