রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

| আপডেট :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪২  | প্রকাশিত :  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪২


রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

জাতীয়

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি


ঝিনাইদহে এক মতবিনিময় সভায় জেলার চালকল মালিকদের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পাকা মেমো ছাড়া মিলগেটে চাল বিক্রি করা যাবে না। করলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বদ্ধ পরিকর।

তিনি আরও বলেন, মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। এইটা মিলারদের সৃষ্টি। রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। কোনোভাবেই যেন দাম বৃদ্ধি হতে বা কেউ করতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।

১ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ বিষয়ে অংশীজনদের সাথে খাদ্যমন্ত্রীর এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, এমপি আব্দুল হাই, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

মন্ত্রী সভায় উপস্থিত চালকল মালিকদের বলেন, ধান মজুদ করার কোনো সুযোগ নেই। ধান গোডাউনে ঢুকবে, ধান বেরিয়ে যাবে। ঝিনাইদহে যে প্রতিটা চাল ২টাকা করে বেড়েছে তা কোন মিল মালিক স্বীকার করেন না। বরং আমিই বলেছি যে, কুষ্টিয়া থেকে এই এই চালের এই এই দাম বেড়েছে। তারা এই মিটিং-এ বলে গেছে যে কোন ভাবেই দাম আর বাড়বে না। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করবো। তাদেরকে অনেক বিবেকের কথা বলে বলা হয়েছে দাম বাড়াবেন না। তারা বলেছে চালের দাম কমাবে। তারা দাম কমাক না কমাক আমি ডিসি, ভোক্তা অধিকার, মার্কেটিং কর্মকর্তাকে বলে দিচ্ছি তারা যদি মনিটরিং করে একদিন একসাথে মার্কেটে নামেন এবং এ বিষয়ে কোন ব্যত্যয় পান কঠোরভাবে মোবাইল কোর্ট করতে থাকেন।

যদিও আমরা চাই না মোবাইল কোর্ট করে কাউকে অপমান করি। যদি আমাদের কেউ বাধ্য করায় তবে মোবাইল কোর্ট হবে। ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়ার সব ধরনের উপদেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি রমজানে পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বলেন, রমজানে ব্যবহৃত যে দৈনন্দিন ভোগ্য পণ্য রয়েছে যেমন, ছোলা, খেজুর, চিনিসহ অন্যান্য জিনিসের দামে প্রেক্ষিতে গতবার যে এলসি খোলা হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি এলসি খোলা হয়েছে। সুতরাং রমজানে দাম বাড়ার কথা না। যদি দাম বাড়ে তবে প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি সর্বশেষ বলেন, আমরা এক বছর চাল আমদানি করিনি। এখনও যে পরিমাণ চাল আছে তাতে করে এখনও চাল আমদানির কোন প্রয়োজন নেই। সরকারিভাবে আমরা চাল আমদানি করছি না। বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য ট্যাক্স জিরো করে অনুমতি দিয়ে রাখব। যদি কোন সমস্যা না হয় তার জন্য একটি পথ খোলা থাকল।

বিবার্তা/রায়হান/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত