রাজধানীতে নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৭

| আপডেট :  ৩০ জুন ২০২৪, ০১:০৭  | প্রকাশিত :  ৩০ জুন ২০২৪, ০১:০৭


রাজধানীতে নববধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৭

বিবার্তা প্রতিবেদক


রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে এসে অপহরণ ও পরবর্তীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নববধূ। এ ঘটনার মূল হোতাসহ ৭ আসামিকে গ্রেফতার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতের এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর খিলক্ষেতের আশপাশ থেকে সাতজকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, নববধূকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বনরূপা এলাকার ঝোপঝাড়ের মধ্যে নিয়ে মারধর করে এবং ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে তারা ভিকটিমের স্বামীকে ছেড়ে দেয় মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য। ভিকটিমের স্বামী ওই স্থান ত্যাগ করে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চায়। এরমধ্যে আসামিরা ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে মারধর করে ও শারীরিক নির্যাতন করে। ভিকটিম তাদেরকে কাঁদতে কাঁদতে না মারার জন্য বারবার অনুরোধ করে। আসামিরা ভিকটিমের আর্তনাদ কর্ণপাত না করে ভিকটিমের ওপর অমানুষিক অত্যাচার চালিয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।

এসি ক্যান্টনমেন্ট জোন শেখ মুত্তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে খিলক্ষেত থানার কয়েকটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

শেখ মুত্তাজুল ইসলাম বলেন, ওই নববধূ শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে বের হন। তারা খিলক্ষেত থানা এলাকার ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনরূপা এলাকায় গেলে সেখানে আবুল কাশেম ওরফে সুমন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে সাতজনের দল তাদের অপহরণ করে।

ভুক্তভোগী নববধূ ও তার স্বামীকে বনরূপা এলাকার ঝোপঝাড়ের ভেতরে নিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। পরে স্বামীর কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য ছেড়ে দিলে তিনি বেরিয়ে এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন।

এসি শেখ মুত্তাজুল ইসলাম আরো বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বনরূপা এলাকায় যায়। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা ঝোপঝাড়ের ভেতরে বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। ভোর ৪টার দিকে পুলিশ সেখান থেকে ভুক্তভোগী নববধূকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান।

পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি রিফাত রহমান শামীম বলেন, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি জানানোর পরপরই অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জড়িত একজন ওই তরুণীর পূর্ব পরিচিত।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেফতারদের মধ্যে আবুল কাশেম সুমন ছাড়াও রয়েছে নূর মোহাম্মদ, হাসিবুল হাসান হিমেল, রবিন হোসেন, মীর আজিজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান হৃদয় ও পার্থ বিশ্বাস।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত