রাজস্ব আহরণ বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ

| আপডেট :  ০৫ মে ২০২৪, ০৯:১৮  | প্রকাশিত :  ০৫ মে ২০২৪, ০৯:১৮


রাজস্ব আহরণ বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় মোট রাজস্ব আহরণ ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

চলতি অর্থবছর মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা।

৫ মে, রবিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের বাজেটে সর্বমোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে মোট এক লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৭.৩ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।

অর্থ মন্ত্রী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর হিসাব অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এনবিআর এর রাজস্ব আদায় হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি এবং চলতি অর্থবছরের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কর রাজস্ব (এনবিআর এবং এনবিআর বহির্ভূত) আহরণের প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আহরণের প্রবৃদ্ধি ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ সময়ে কর বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আহরণের পরিমাণ ২৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ।

অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের সরকারি ব্যয় পরিস্থিতি তুরে ধরে মন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (জিডিপি’র ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ)। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য বায় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (জিডিপি’র ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা (জিডিপি’র ৫ দশমিক ২২ শতাংশ)। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে মোট ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা (বাজেট বরাদ্দের ২৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ)। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৭ কোটি টাকা (বাজেট বরাদ্দের ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ)। সার্বিকভাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় মোট ব্যয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। এছাড়া পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় এক দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়েছে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় বেড়েছে ২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা প্রাক্কলিত জিডিপি’র ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে জিডিপি’র ২ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জিডিপি’র ৩ দশমিক ১০ শতাংশ সংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাজেট ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরে একই সময়ে বাজেট ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ অপেক্ষা ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বেশি হয়েছে এবং বৈদেশিক উৎস থেকে নীট (অনুদানসহ) ১০ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার ঘাটতি অর্থায়ন করা হয়েছে।

বিবার্তা/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত