রাত ১১টার পর রাজধানীতে চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ

| আপডেট :  ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩১  | প্রকাশিত :  ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩১


রাত ১১টার পর রাজধানীতে চায়ের দোকান বন্ধের নির্দেশ

বিবার্তা প্রতিবেদক


রাজধানীতে রাত ১১টার পর পাড়া-মহল্লার সব চায়ের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

পাশাপাশি সম্প্রতি ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে কোনো মহল যাতে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সেজন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

২৮ এপ্রিল, রবিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নিদের্শনা দেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলিগলিতে মধ্যরাত পর্যন্ত ও কোনো কোনো এলাকায় সারারাত চায়ের দোকান খোলা থাকে। এসব দোকানে চা খাওয়ার পাশাপাশি লোকজন আড্ডা দেয়। অনেক অপরাধীও সাধারণ মানুষের মঙ্গে মিশে থাকে। সুযোগ বুঝে তারা চুরি-ছিনতাই করে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধে রাতে রাস্তার মোড়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। রাস্তার পাশের বিড়ি, পান ও চায়ের দোকান রাত ১১টার পর বন্ধ থাকবে।

সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টিকারী কোনো কাজ যেনো ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় না হয়; সেদিকেও সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এই ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে হবে।

রাজধানীর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে অন্যদের কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন।

ট্রাফিক ও ক্রাইম বিভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করায় এবার রমজানে অন্যবারের চেয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলেও মন্তব্য করেন হাবিবুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই যাচাই করবেন সেটা আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের কিনা। কারণ গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে। যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এই বিষয়টি নজর রাখবেন।

সমাজে অপরাধের কারণ অনুসন্ধান করে সেগুলো প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে বলেও এ সময় ডিএমপির কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রাজধানীর ৫০টি থানা এলাকার মার্চ মাসের অপরাধ নিয়ে পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় ঢাকা মহানগরের আইনশঙ্খৃলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়।

এ আয়োজনে অতিথি ছিলেন, ডিএমপির প্রাক্তন কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিঞা। ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান,  অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত