রাফায় আবারও ব্যাপক গোলাবর্ষণ ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। শহরটিতে পুনরায় হামলা চালানোর সতর্কবার্তা দেওয়ার একদিন পরই এই হামলা চালালো তারা। এতে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু নতুন করে নির্ধারণ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরগুলো এখন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এক্ষেত্রে হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু এখন নুসেইরাত ও বুরেজি শরণার্থী শিবির ও দেইর এল-বালাহ শহর। বুধবার রাফাহ শহরে শিগগিরই অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। এর প্রস্তুতি হিসেবে সেখানে থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিল তারা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে রাফাহতে পাঁচটি বিমান হামলা হয়েছে। এই হামলায় কমপক্ষে তিনটি বাড়ি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ছয় জন। বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম খরাইশি বলেছেন, ‘রাফাহতে যা ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, অনেকেই পালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবারকে নিয়ে ভয় পাচ্ছেন তারা। তবে তারা যাবে কোথায়? উত্তর গাজায় যাওয়ার অনুমতি নেই তাদের। তারা একটি সংকীর্ণ জায়গায় আটকে রয়েছেন। হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে গাজায় আকাশ ও স্থলপথে সাত মাস ধরে অডভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। উপত্যকাটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণের পূর্ব খান ইউনিসেও নতুন করে হামলা চালিয়েছে তারা। এদিকে, গাজার গণকবরে পাওয়ার খবরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেছেন, সব ধরনের ফরেনসিক প্রমাণ সংরক্ষণ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘকে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের আইনি দখল নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য এখন আইন প্রণয়ন বিভাগের আদেশ নিতে হবে। অন্যদিকে, গাজা উপত্যকায় সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে করা হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৩০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটের মধ্যেই অঞ্চলটির প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা বিবার্তা/লিমন
রাফায় আবারও ব্যাপক গোলাবর্ষণ ইসরায়েলের
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত