রাবি শিক্ষককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

| আপডেট :  ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১  | প্রকাশিত :  ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১


রাবি শিক্ষককে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার ১

রাজশাহী প্রতিনিধি


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষককে পথরোধ করে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মেইন গেটের বিপরীত পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী শিক্ষক।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মোবারক পারভেজ। মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- নগরীর তালাইমারী এলাকার মো. মিনহাজ আবেদীন (৩৯) এবং মোসাদ্দেক হোসেন রাতুল (২৭)। অভিযুক্ত মিনহাজ আবেদীনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। রুয়েটের মেইন গেটের বিপরীতে রাজশাহী মিষ্টিবাড়ির সামনে মোটরসাইকেল আরোহী অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী শিক্ষকের গাড়ি অতিক্রম করে পথরোধ করে। এসময় তারা শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা গাড়ির দরজা খুলতে বাধ্য করে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষককে এলোপাতাড়ি মুখে বুকে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মারধরের পর তারা মোটরসাইকেলে তালাইমারী রাস্তার দিকে এগোতে থাকলে তাদের পিছনে গাড়ি নিয়ে যেতে থাকেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। তালাইমারী মোড়ে পৌঁছানোর পর তারা আবার পথরোধ করে। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গালিগালাজ করে জানতে চায় কেন তাদের পিছনে আসছেন তিনি। সেসময় তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ও মোটরসাইকেলের নাম্বার দেখতে গেলে অভিযুক্ত মোসাদ্দেক হোসেন দ্রুত পালিয়ে যায়। এদিকে মিনহাজ আবেদীন বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করলে মিনহাজ তাকে মারধর এবং গলাটিপে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন শিক্ষকে রক্ষা করলে অভিযুক্ত আসামি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোবারক পারভেজ বলেন, ইতোমধ্যে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মিনহাজ আবেদীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত