রিজভী সাহেবরা যে যত স্বপ্নই দেখুক সে স্বপ্ন পূরণ হবে না: নানক

| আপডেট :  ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০০  | প্রকাশিত :  ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০০


রিজভী সাহেবরা যে যত স্বপ্নই দেখুক সে স্বপ্ন পূরণ হবে না: নানক

বিবার্তা প্রতিবেদক


বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে যত স্বপ্নই দেখুক সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। বাংলাদেশ আর পিছনে তাকাবার বাংলাদেশ নেই।

তিনি বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন সেই দুঃখ কষ্টের বাংলাদেশ আজকে আর নেই। আজকের বাংলাদেশ একটি সুন্দর বাংলাদেশ, হাস্যোজ্বল বাংলাদেশ।

ঈদের পর প্রথম কর্ম দিবসে ১৫ এপ্রিল, সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি একথা বলেন।

নানক বলেন, দেশের মানুষ দুটি বড় উৎসব পালন করলো। ঈদুল ফিতরের পর বাংলা নববর্ষ উদ্‌যাপন করেছে। দুই উৎসব আনন্দের মধ্যে দিয়ে পালন করেছে। ধন্যবাদ জানাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সবাইকে।

ঈদ মানুষের কষ্টে কেটেছে বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য প্রসঙ্গে নানক বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে কথা বলেন, তারা সে বাংলাদেশ দেখতে অভ্যস্ত। আজকে বাংলাদেশ এমন এক জায়গায় গেছে যে পিছনে তাকানোর সময় নেই। আজকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আজকে বিশ্ব হাতের নাগালের মধ্যে। কাজেই রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন সেই দুঃখ কষ্টের বাংলাদেশ আজকে আর নেই। আজকের বাংলাদেশ একটি সুন্দর বাংলাদেশ, হাস্যোজ্বল বাংলাদেশ।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি নিয়ে নানক জানান, আমরা গ্রামের মানুষ। আমরা যারা সরকারের লোক এবং সরকারে রয়েছি, আমরা কিন্তু রমজানের আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। রমজানের আগেই বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভমূল্যে কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম। ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল মফস্বলের মানুষ কিন্তু সেই পরিস্থিতির মুখে ছিল না। ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলের আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে ভোক্তার কাছে এসে তা ৫০-৬০ গুণ বেড়ে যায়। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।

তাহলে কি সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি- প্রশ্নে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট একটা পপুলার শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা মালামালটা কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সে কাজটা সরকার করবে, সেটা সরকারের দায়িত্ব। আমরা যারা সরকারের আছি আমাদের দায়িত্ব। সুলভ মূল্যের বাজারের কারণে ঢাকা শহরে ১৫ রোজার পরে বাজার ফল করেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জিনিসপত্র, কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/এমজে 

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত