সকল কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: মেয়র তাপস

| আপডেট :  ০৭ মে ২০২৪, ০৬:২৮  | প্রকাশিত :  ০৭ মে ২০২৪, ০৬:২৮


সকল কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে: মেয়র তাপস

সারাদেশ

বিবার্তা প্রতিবেদক


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) সব কর্মচারীর আবাসনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে আমরা এখন তাদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি।

৭ মে, মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র বলেন, বাসা বরাদ্দে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন স্বচ্ছতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে অনেককেই বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার ফলে করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কর্মচারীদের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

যতদিন দায়িত্বে থাকব ততদিন দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই একসময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদেরকে আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলমান থাকবে। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোন অবৈধ দখলদার থাকতে দিবো না।

অনুষ্ঠানে দয়াগঞ্জের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস ‘নীলপদ্ম’ এ ৬৪ জন এবং ধলপুরে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস ‘শাপলা’, ‘শালুক’ ও ‘পলাশ’ এ ২৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়।

দয়াগঞ্জের নীলপদ্ম পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসে ৩৪৩টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত হলেও বাসা বরাদ্দ প্রাপ্তির সকল মানদণ্ড পূরণ করেছে ৬৪ জন। একইভাবে ধলপুরে ২৯০টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হয়। তন্মধ্যে পূর্বে ২৬৯টি বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়। বাকী ২১টি বাসা আজ যোগ্য প্রার্থীদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত