সন্তান লালনপালনের ২৮ শুদ্ধাচার

| আপডেট :  ২৭ মার্চ ২০২২, ০১:০৫  | প্রকাশিত :  ২৭ মার্চ ২০২২, ০১:০৫

মানুষের সুষ্ঠু বিকাশের অন্যতম শর্ত হল সুন্দর শৈশব । তাই, শিশুদের প্রতি যত্নবান হোন।

১. ভয় দেখিয়ে শিশুদের খাওয়াবেন না, ঘুম পাড়াবেন না। ভূত-প্রেতের কথা বলবেন না ।
২. কাউকে ভীতিকর হিসেবে উপস্থাপন করবেন না।
৩. ‘কে বেশি ভালোবাসে বাবা নাকি মা’ – এ ধরনের প্রশ্ন করে শিশু মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না ।
৪. টিভি বা কোন ধরনের স্ক্রীন দেখিয়ে খাওয়াবেন না।

৫. ছেলে-মেয়েতে বৈষম্য না করে সমান দৃষ্টিতে দেখুন। ছেলে আপনার হলে মেয়েও আপনার।
৬. সন্তানের সামনে ঝগড়া করবেন না ।
৭. মা বাবা একে অপর কে দোষারোপ করে কথা বলবেন না।
৮. একান্নবর্তী পরিবারের সকল সন্তানকে এক নজরে দেখুন ।

৯. তোমাকে হাসপাতাল থেকে কুড়িয়ে আনা হয়েছে, এমন বাজে কথা বলবেন না। শৈশবের দুঃখবোধ তাকে নিরাপত্তাহীনতার ভিতরে ফেলে।
১০. শিশু কোনো কিছুর সাথে আঘাত পেলে সে জায়গায় পাল্টা আঘাত করতে বলবেন না। এতে সে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠবে।

১১. শিশুদের সামনে আপনি কোন ভুল করে ফেললে অকপটে দুঃখ প্রকাশ করুন। এতে আপনার প্রতি শিশুর শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা বাড়বে ।
১২. শিশুকে ভালো কোন সৃজনশীল কাজে যুক্ত করুন। বই পড়া, গণিত শেখা, লেখালেখি, ছবি আঁকা ইত্যাদি।

১৩. বয়স অনুযায়ী নিজের কাজ নিজে করার ব্যাপারে উৎসাহিত করুন । যেমন নিজের স্কুল ব্যাগ বহন করা, পড়ার টেবিল গুছিয়ে রাখা, জুতার ফিতা বাধা ইত্যাদি ।
১৪. শিশুকে তার সম্ভাবনার কথা বলে উৎসাহিত করুন । আপনার উৎসাহ তাকে সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে ।
১৫. কথায় কথায় ভুল না ধরে সংশোধন করে দিন।
১৬. শিশুর নাম বিকৃত করবেন না ।

১৭. শিশুদের দিয়ে এমন বাজে কোনো কাজ করাবেন না যা তার আত্মবিশ্বাস ও আত্মসম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ।
১৮. আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে শিশুদের জড়াবেন না ।
১৯. অন্যের দুর্নাম করার প্রবণতা পরিহার করুন, তাহলে সন্তান ছোটবেলা থেকেই শুদ্ধাচারী হয়ে উঠবে।

২০. মাদ্রাসা, এতিমখানার অর্থ সংগ্রহের কাজে সেখানে অবস্থানরত শিশুদের নিয়োজিত করবেন না । করুণা পেতে দেখলে শিশু স্বাবলম্বী হতে পারেনা।
২১. অন্য ধর্মের কারো সাথে মিশবে না, এ ধরনের কথা বলবেন না । তাকে সব ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তুলুন ।
২২. সন্তানকে আত্মকেন্দ্রিক করে বড় করবেন না। আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীর সাথে মেলামেশার সুযোগ দিন ।

২৩. সন্তানকে ভিডিও গেম নয় বাস্তবে অন্য শিশুদের সাথে মেলামেশা করার সুযোগ দিন । পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য মানুষের সংস্পর্শের কোনো বিকল্প নেই ।
২৪. সন্তানকে অতিরিক্ত উপহার, খেলনা, বিলাসী দ্রব্য দিয়ে জীবন নষ্ট করবেন না।
২৫. আত্মীয়স্বজনের মধ্যে তুলনা করা শেখাবেন না।
২৬. তাকে শেখানো, ছোট-বড় প্রতিটি উপহার মমতার প্রকাশ ।
২৭. শৈশব থেকেই সন্তানকে বলুন তোমাকে ভালো মানুষ হতে হবে, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
২৮. দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি বীরত্বগাথা সম্পর্কে ধারণা দিন । সে যে এক মহান জাতির উত্তরাধিকার তা তার মনে গেঁথে দিন।ৎ

সম্পাদনায়: উজ্জ্বল প্রধান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত