সরকারকে আন্দোলনকারীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

| আপডেট :  ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:১২  | প্রকাশিত :  ১৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:১২


সরকারকে আন্দোলনকারীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


কোটা আন্দোলনের দাবি মেনে নিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসময়ের মধ্যে সংসদে অধিবেশন ডেকে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারীরা।

১৪ জুলাই, রবিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তারা বলেন, আমরা বলেছি কোটা বাতিল করে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। আমরা পদযাত্রা সফল করেছি।

আমরা সরকার থেকে এখনও আশ্বাস পাচ্ছি না। কোটা সংস্কারের এখতিয়ার সরকারের। কিন্ত সরকার এড়িয়ে যাচ্ছে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছি, সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধু অনগ্রসরদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে সংবিধান অনুসারে সংসদে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আমরা আশা করি মহামান্য রাষ্ট্রপতি আইন প্রণয়ন করতে জরুরি পদক্ষেপ নেবেন।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এক দফা দাবিতে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিবেশন ডাকার দাবি জানিয়েছি। আমরা এই দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। আজকে আমাদের থামানো যায়নি। আমরা চাচ্ছি না কঠোর কর্মসূচিতে যেতে। আমরা চাই দ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবো।

তিনি আরও বলেন, ২৪ ঘণ্টা বাড়ানো হলো মামলা তুলে নিতে। না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি নিয়ে সবাইকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করবো।

এর আগে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। রাষ্ট্রপতির সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়ার পর পরে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছানো হবে বলে জানানো হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজ থেকে একজন করে সদস্য রয়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন, আসিফ, নাহিদ, সারজিস, নিদ্রা, আরিফ সোহেল, সুমাইয়া, আশিক, কাদের, মাহিন, হাসিব, মাসুদ ও সিফাত।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণপদযাত্রা করে শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছান আন্দোলনকারীরা।

সেখানে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবন যাওয়ার রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। পরে সেখান থেকেই আন্দোরনকারীদের সমন্বয়কদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যায়।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত