সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি হতাশার খবর

| আপডেট :  ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৩২  | প্রকাশিত :  ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৩২

প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৃঙ্খলায় আনতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কর্মচারী আচরণ বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিষয়ে প্রচারে অংশ নিতে সরকারি চাকরিজীবীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।

তবে সরকারের উন্নয়নকাজ সম্পর্কিত বিষয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কথা বললে তা ইতিবাচক হিসাবে দেখা হবে। আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বামী বা স্ত্রীদের কেউ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তা জানাতে হবে।

শিগগিরই বিধিমালার খসড়া সচিব কমিটিতে পাঠানো হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, আশা করি, সংশোধিত বিধিমালাটি সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বিধানে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়, কেউ যদি কোনো নির্বাচনে নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান তাহলে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়েছেন-এমন অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার।

নারী সহকর্মীদের প্রতি অসঙ্গত আচরণ ও শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। ‘অসঙ্গত আচরণ’ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রস্তাবিত বিধিমালার খসড়ায় সরকারি দলিলাদি বা তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কঠোর ধারাই বহাল রাখা হচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া সরকারি-বেসরকারি বা সাংবাদিকদের কারও কাছেই তথ্য দেওয়া যাবে না।এক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইনের আওতাধীন তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা না থাকার বিষয়টি নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে।

এবিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিধিমালা সংশোধনের মাধ্যমে নতুন কিছু বিষয় সংযোজন করা হচ্ছে।

সম্পদের হিসাব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে প্রস্তাব করা হচ্ছে। বিধিমালাটি সংশোধন হলে এ সংক্রান্ত বিষয়গুলোয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক বিষয়ে স্পষ্ট ধারাণা পাবেন আশা করি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত