সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে হাইকোর্টের রুল জারি

| আপডেট :  ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৪০  | প্রকাশিত :  ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৪০

ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীর গ্রেফতার বা হাজতবাসের কারণে সাময়িক বরখাস্তের বিধান কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ডেপুটি পরিচালক (ঢাকা বিভাগ), জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফরিদপুর, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সদরপুরের উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৬ এপ্রিল) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের।

শুনানিকালে আইনজীবী বলেন, কোনও উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপরাধী প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা আইন বিজ্ঞানের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত চাকরির অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া বিভাগীয় কোনও কার্যধারা গ্রহণ ব্যতীত অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আবেদনকারীকে সাময়িক বরখাস্তের অধীন রাখা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ এবং ৩২ এর পরিপন্থী। একইসঙ্গে এই বিধানটি নিপীড়নমূলক এবং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এ সব বিষয় বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকারি চাকরিবিধি ১৯৭৩, পার্ট ১, বিধি ৭৩ এর নোট ২, কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং আবেদনকারীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

এর আগে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার চর চাঁদপুর নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ আজিজ খান একটি রিট দায়ের করেন।

২০১০ সালের সদরপুর থানার একটি ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার হয়ে প্রায় তিন মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হন শিক্ষক এমএ আজিজ খান। ওই মামলায় হাজতবাসের কারণে ২০১৩ সালে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং নিয়মানুযায়ী তিনি খোরপোষ ভাতা পেয়ে আসছিলেন। বাংলাদেশ সরকারি চাকরি বিধি ১৯৭৩ এর পার্ট ১, বিধি ৭৩ এর নোট ১ অনুযায়ী, তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই ফৌজদারি মামলা চলমান থাকায় তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ চলমান রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিবিধি ১৯৭৩, পার্ট ১, বিধি ৭৩ এর নোট ২, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আবেদনকারীর মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী দাবি করে রিট আবেদনটি দাখিল করা হয়। একইসঙ্গে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির আরজি জানানো হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত