সরকারি কর্মচারীর পদ ও বেতন বৈষম্যের নতুন কিছু তথ্য বেড়িয়ে এলো

| আপডেট :  ২৩ জুলাই ২০২২, ০৬:২৯  | প্রকাশিত :  ২৩ জুলাই ২০২২, ০৬:২৯

দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন অধিদফতর ও দফতরে কর্মরত সমপদের প্রায় ১৪ হাজার কর্মচারীর পদ ও বেতন বৈষম্য নিরসনেরর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (২৩ জুলাই) বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আবু নাসির খান বলেন, ‘সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে সরকারি বিভিন্ন দফতরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী বিভিন্ন পদের পদবি ও বেতন স্কেল এক ও অভিন্ন। কিন্তু ১৯৯৫ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে শুধুমাত্র সচিবালয়ের পদগুলো আপগ্রেড করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি করা হয়। ১০ নম্বর গ্রেডে উন্নীত করা হয় তাদের। এতে দফতরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।’

মহাসচিব আবু নাসির খান জানান, ১৯৯৫ সালে প্রজ্ঞাপন জারির পর পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইইজিসি), সুপ্রিম কোর্ট, গণভবন, বঙ্গভবনের পদগুলোও আপগ্রেড করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দফতরের পদগুলো এখনও আগের মতোই রয়ে গেছে। এই পদবি ও বেতন বৈষম্যের অবসান চান ভুক্তভোগী কর্মচারিরা।

মানববন্ধন চলাকালে আবু নাসির খান বলেন, ‘ইতোমধ্যে সরকার উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারীর সমস্কেল ও নিম্ন স্কেলের কর্মচারিদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্লক সুপার ভাইজার, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, পুলিশের এসআই, নার্স, অডিটর ও খাদ্য পরিদর্শকসহ পদগুলো দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। অথচ অন্যান্য দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের সমপদগুলো উন্নীত না করায় দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বঞ্চিত রয়েছেন এসব সরকারি কর্মচারীরা।’

মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২ ও ৩৩ তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত, অষ্টম জাতীয় পে-কমিশনের সুপারিশ এবং দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতারা জাতীয় সংসদে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেছেন। অথচ কেন বৈষম্য দূর হচ্ছে না তা ভুক্তভোগী কর্মচারীদের বোধগম্য নয়।

মানববন্ধনে অধিদফতরের পদবি ও বেতন বৈষম্য নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।

বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেন আবদুল হালিম, মো. বেল্লাল হোসেন, লুৎফর রহমান, ফারুক মালুম, রেশমা পারভীন, জাকির হোসেন, বাশারুল হক, নোমান আল আজাদ, শাহাদত হোসেন, ইসলাম খান, জাহিদুল ইসলাম, আশিকুল ইসলাম, মহসিন মিয়া, মুকলেছুর রহমান, হুমায়ুন কবীর, মামুন, কাবুল হোসেন মোল্লা, মাহতাব উদ্দিন, আনোয়ার জিলানী প্রমুখ।

এছাড়াও একাত্মতা প্রকাশ করেন ডাক অধিদফতর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, খাদ্য অধিদফতর, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, ক্রীড়া পরিদফতর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদফতর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, আয়কর বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বন অধিদফতর, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদফতর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ভূমি সংস্কার বোর্ড, টেলিযোগাযোগ অধিদফতর, জরিপ অধিদফতর, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেতারা।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত