সরকারের কাছে তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন পদযাত্রা। দলটির বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চারবারসহ মোট পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। পূর্বে এই সরকার নিয়েছে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল সহ বড় বড় সব চ্যালেঞ্জ এবং সফলভাবে বাংলাদেশকে উঠিয়ে দিয়েছে উন্নয়নের মহাসড়কে। তবে, বর্তমান নবগঠিত সংসদে শক্তিশালী কোন বিরোধী দল না থাকায় জনগণের মনে তৈরি হয়েছে গণতন্ত্রের মর্যাদা হারানোর শঙ্কা। সচেতন মানুষের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরাও ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের অবলুপ্তি নিয়ে চিন্তিত। সবকিছু ছাপিয়ে পরিচিত নেতৃত্বের প্রতি জনমানুষের আস্থার সাথে মিশ্রিত হয়েছে নতুন সরকারের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিস্তর প্রত্যাশা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রতি তাদের প্রত্যাশা ও প্রত্যাশামত প্রয়োজনীয় উন্নয়নগুলো তুলে ধরেছেন প্রসেনজিত দাস। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরি নওরীণ জাহান রুণা নবনির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতির পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে সুনজর দিবেন। এখানের সুষ্ঠু, পরিবেশ, উন্নত খাবার মান নিশ্চিতকরণের জন্য সুনজর দিলে প্রশাসনের উদ্যোগে সুন্দর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গড়ে উঠবে সুস্থ একজন দেশের ভবিষ্যৎ কারিগর। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশও। সকলকিছু উর্ধ্বে আমরা চাই, একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সুশাসন ও জবাবদিহি। এর পূর্বশর্ত দুর্নীতিমুক্ত শাসন এবং প্রশাসন। নতুন সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া, শুধু ভৌত অবকাঠামো নয়, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি। কারিগরি শিক্ষার প্রসার এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা তুহিব মাহমুদ শিক্ষাখাতে নানারকম অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ করে বাস্তবভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করা। মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া এবং জোরদারভাবে সেটা বাস্তবায়ন করা।পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো যেনো শতভাগ পূরণ করা সম্ভব হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করা। বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে কাজ করা। শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও সড়ক পরিবহন আইনের যথাযথ প্রয়োগ মেহেদী হাসান সাকিব স্মার্ট জনবল তৈরি করতে হলে অবকাঠামোর সাথে সাথে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেয়া জরুরি। সর্বোচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চায়নে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পর্যাপ্ত পরিমাণের শিক্ষক এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে আরো ব্যবস্থা এবং নজরদারি দরকার। আগামীর বাংলাদেশ এমন হওয়া দরকার যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ শিক্ষা নেয়ার জন্য আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজনবোধ মনে করবে না। নিজ দেশেই সর্বোচ্চ শিক্ষা নিয়ে দেশের সেবা করার পর্যাপ্ত কর্মক্ষেত্র থাকবে। নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন পাশাপাশি দুর্নীতি হ্রাস মিথিলা হক তুলি বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্র নায়কের সুপরিচালনায় নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা স্বপ্নের রঙ ছড়িয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা হয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত। প্রত্যাশাগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতির সফল বাস্তবায়ন। জোর দেয়া হবে সুশাসনের উপর। কঠোর হস্তে দমন করা হবে সন্ত্রাস, রাহাজানি আর মাদকের আগ্রাসন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে দুর্নীতি নির্মূল করা জরুরি। এক কথায়, আমার প্রত্যাশা নতুন সরকারের হাত ধরে গড়ে উঠবে এমন এক সুন্দর আলোকিত মর্যাদাবান বাংলাদেশ যা বিশ্বের বুকে দাঁড়িয়ে থাকবে শির উঁচু করে। বিবার্তা/প্রসেনজিত/লিমন
সরকারের কাছে তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা
সারাদেশ
কুবি প্রতিনিধি
বাংলা বিভাগ
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
আইসিটি বিভাগ
সড়ক আইনের প্রয়োগে আরো কঠোর অবস্থানে যাওয়া জরুরি এবং সড়ক আইন বিষয়ে জিরো টলারেন্সে এখনি আসা দরকার তা নাহলে এত এত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বা একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে না আসলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।
বাংলা বিভাগ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত