সাঁথিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর কচুরিপানা অপসারণ

| আপডেট :  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫৭  | প্রকাশিত :  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫৭


সাঁথিয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর কচুরিপানা অপসারণ

সারাদেশ

পাবনা প্রতিনিধি


‘নিয়েছি শপথ, গড়বো দেশ, পরিষ্কার রাখবো বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পুন্ডুরিয়া কাকেশ্বরী নদীতে পরিবেশ ও সচেতনতার অংশ হিসেবে দুই কিলোমিটার বিস্তৃত কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে ‘পুন্ডুরিয়া শান্তি সংঘ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন।

শুরুর প্রথমদিনেই প্রায় আধা কিলোমিটার কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা পরবর্তী সময় জমে থাকা কচুরিপানা পচে দূষিত হয়ে পড়ে কাকেশ্বরী নদীর পানি। নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় নদীর দুই পারের বাসিন্দারা। নদীর এই কচুরিপানা ধীরে ধীরে চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তারা নদীর কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে।

সংগঠনটির ডাকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কচুরিপানা অপসারণে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পুন্ডুরিয়া গ্রামের ছাত্র-শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের প্রায় দুই শত মানুষ।

কচুরিপানা পরিষ্কারের শুরুর দিনে করমজা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচী, শিল্পপতি এম.এ ওহাব বাগচী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের, সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, সমাজকর্মী মনসুর হোসেন, ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান, রজব আলী মুন্সিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

কচুরিপানা পরিষ্কার অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ এমএ ওহাব বাগচী জানান, পুন্ডুরিয়া কাকেশ্বরী নদীতে দীর্ঘদিন দুই কিলোমিটার যেভাবে কচুরিপানা আটকে ছিল তা এলাকাবাসীর জন্য দুর্যোগে পরিণত হয়েছিল। তাই দলমত-নির্বিশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে সবাই একযোগে কচুরিপানা অপসারণে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। পরে আর যাতে কচুরিপানা জমতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজের সাথে আমি আছি, সবসময় থাকবো।

সংগঠনটির পরিচালক জহুরুল ইসলাম পাপ্পি জানান, আমরা অতীতে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছি। তাই পরিবেশ ও সচেতনতার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কাকেশ্বরী নদীতে সাত দিনব্যাপি কচুরিপানা পরিষ্কারের কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছি। নদীর দুইপাড়ে প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। মানুষ নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও দৈনন্দিন কাজে এই নদীর পানি ব্যবহার করে থাকি। এখন থেকেই যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে অন্য সব নদীর মতোই এই নদীও হারিয়ে যাবে যা আমরা চাইনা। আমরা পুন্ডুরিয়া শন্তি সংঘ এই নদীর পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

বিবার্তা/পলাশ/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত