সার্বজনিন পেনশন ব্যবস্থা যে নিয়মে হবে

| আপডেট :  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:২৮  | প্রকাশিত :  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:২৮

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরে মধ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও একই সুযোগ রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের নাগরিকরা নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিয়ে ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর মাসিক পেনশন তুলতে পারবেন। আর ৮০ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত সুবিধা নিতে পারবেন। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ যে কৌশলপত্র তৈরি করেছে, এর একটি সারসংক্ষেপ বুধবার সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন হলো জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উপহার।’

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ওপর তৈরি করা কৌশলপত্র গত বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করেছে অর্থ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী ওই দিনই এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।

কত টাকা চাঁদা দিলে মাসে কত টাকা পেনশন পাওয়া যাবে : অর্থমন্ত্রী কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব দেননি যে, কত টাকা চাঁদা দিলে মাসে কত টাকা পেনশন পাওয়া যাবে। এ প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী একটি উদাহরণ দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ধরুন, মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা, মুনাফা ১০ শতাংশ ও আনুতোষিক ৮ শতাংশ।

তাহলে ১৮ বছর বয়সে যদি কেউ চাঁদা দেওয়া শুরু করেন এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তা চালু থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অবসরের পর ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাবেন।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কেউ যদি ৩০ বছর বয়সে চাঁদা দেওয়া শুরু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে, তাহলে অবসরের পর প্রতি মাসে তিনি ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা করে পেনশন পাবেন। চাঁদার পরিমাণ এক হাজার টাকার বেশি হলে আনুপাতিক হারে পেনশনের পরিমাণও বেশি হবে। তবে এ হিসাব একটি আনুমানিক হিসাব। প্রকৃত অবস্থা আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর জানা যাবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত