‘সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের স্থানটিতে বর্তমানে আর আগুন নেই’

| আপডেট :  ০৬ মে ২০২৪, ০২:১৩  | প্রকাশিত :  ০৬ মে ২০২৪, ০২:১৩


‘সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের স্থানটিতে বর্তমানে আর আগুন নেই’

খুলনা প্রতিনিধি


সুন্দরবনে লাগা আগুনের বিষয়ে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেছেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের স্থানটিতে বর্তমানে আর আগুন নেই। এরপরও সেখানে পর্যবেক্ষণের জন্য টিম রাখা হয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। এই অঞ্চলটি শুকনো। বর্ষা মৌসুমে ছাড়া এখানে পানি পাওয়া যায় না। এই সময় প্রতি বছর পাতা পড়ে জৈব পদার্থে পরিণত হয়। এখানে আগুন লাগা সহজ হয়। যে কারণে প্রায় প্রতি বছর এই অঞ্চলের বনে আগুন লাগে। গত দুই যুগে জায়গাটিতে অন্তত ২৫ বার আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, বন বিভাগ ও বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরের সদস্য সোমবারও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে।

রবিবার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টায় খুলনায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সুন্দরবনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সরজমিনে পরিদর্শন শেষে খুলনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের চারিদিকে প্রায় পাঁচ একর জায়গা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। ওই পাঁচ একর জায়গা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়েছে। চারপাশে নালা কেটে পানি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কোথাও কোনও আগুন রয়েছে কি না তা দেখতে সোমবার সকাল থেকে ড্রোন দিয়ে জায়গাটি মনিটরিং করা হবে।

সুন্দরবনে আগুন লাগার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, আমরা এখন সবাই ব্যস্ত আগুন নেভানোর জন্য। আমি নিজেও আগুন নেভানো ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুতরাং যেসব কারণে আগুন লাগতে পারে… কোনও কারণকেই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। মৌয়ালের কারণেও আগুন লাগতে পারে। যারা মাছ ধরে… তারা ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে— এটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আবার দুর্ঘটনাবশত কারো হাত থেকে আগুন পড়ে গিয়েও লাগতে পারে, সেটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সবগুলো হাতে রেখেই আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় সোমবার (৬ মে) একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হবে। তারা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তারা একটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

একই সঙ্গে আগুনের স্থানটিতে কোনও জীববৈচিত্রের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় (ডিএফও) বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মোহসিন হোসেনসহ অন্যান্য বন কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) বিকেল পৌনে ৩টায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগে। রোববার (৫ মে) সকাল থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বনবিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। আগুন লাগার ৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণের কথা জানায় বন মন্ত্রণালয়। তবে, আগুন জ্বলে উঠতে পারে সেই শঙ্কায় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর সোমবার ভোর থেকে ফের আগুন নেভাতে কাজ করবে সংশ্লিষ্টরা।

বিবার্তা/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত