হিলিতে কমছে শীতের দাপট, জনজীবনে ফিরছে স্বস্তি
টানা কয়েক সপ্তাহজুড়ে ঘণকুয়াশা আর তীব্র শীতের পর দিনাজপুরের হিলিতে কমছে কুয়াশা ও শীতের দাপট, স্বস্তি ফিরছে জনজীবনে। দুই দিনের ব্যবধানে জেলায় তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ ডিগ্রি। জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, আজ বুধবার সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আর বাতাসের আদ্রতা ৯৬ শতাংশ। যা গতকাল মঙ্গলবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা কয়েক সপ্তাহজুড়ে ঘনকুয়াশা আর হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছিল শীতের প্রকোপ। কয়েক সপ্তাহ পর সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধার পর থেকে আবারও ঘনকুয়াশার সাথে তীব্র শীতে কাতর হয়ে পড়েছিলেন এই এলাকার সাধারণ মানুষেরা। কুয়াশার কারণে ট্রেন, বাস, অটোবাইকগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। কুয়াশার কারণে ট্রেনগুলোও চলাচল করতে হয়েছে বিলম্বে। শীত উপেক্ষা করেই যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ট্রেনের জন্য। ঠান্ডার কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হয়নি। বেশি দুর্ভোগে ছিলেন ছিন্নমুলসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করেই তাদের ছুটতে হয়েছে কর্মস্থলে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভির করছেন নিম্নআয়ের অসহায় মানুষেরা। দিনমজুর শুকুর আলী বলেন, কয়েকদিন খুব ঠান্ডা গেলো বাবা। এখন একটু সূর্য দেখা যায়। তবে তাপ কোন দিন বেশি আবার ও কোন দিন কম। আজ বেলা ১২টার দিকে সূর্যের দেখা মিললেও দুপুর থেকে মেঘে ঢেকে আছে। তবে আগের থেকে শীত কম লাগছে। কয়েকদিন ধরে তেমন কাজকাম পাইনি। এই কয়েকদিন খুব কষ্টে দিন গেছে। ভ্যান চালক রশিদ বলেন, কয়েক দিন ধরে খুব ঠান্ডা গেলো। এখন শীত একটু কম তাই ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চারশত টাকা ইনকাম করছি। আর কয়েকদিনতো ঠিকতম হয়ইনি। হিলি বাজারের কামার কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, কয়েকদিন ধরে সূর্য উঠছে। তাই তিন পরে কাজে এসেছি। তীব্র ঠান্ডায় কোন দিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কাজ করছি। আর দুইদিন ধরে ৫ শত থেকে ৭ শত টাকা কাজ করছি। আজকে আকাশ মেঘলা থাকলেও ঠান্ডা কম। বিবার্তা/লিমন
হিলিতে কমছে শীতের দাপট, জনজীবনে ফিরছে স্বস্তি
সারাদেশ
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত