১০০ টাকার ভাড়া ৬০০

| আপডেট :  ০৮ জুলাই ২০২২, ০৯:১৭  | প্রকাশিত :  ০৮ জুলাই ২০২২, ০৯:১৭

পোশাক শ্রমিক আজমল হোসেন গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে পরিবারসহ যাবেন গাইবান্ধায়। সকাল থেকে আশুলিয়ার বাইপাইলে অপেক্ষা করছেন বাসের জন্য। দীর্ঘ দুই ঘণ্টায়ও বাসের খোঁজ নেই। দু-একটা এলেও কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া।

অনিশ্চতয়তা আর ভোগান্তিতে কাটছে সময়। তবে শিশুসন্তান সেই সময়টায় মেতে উঠেছে খুনসুটিতে। ক্লান্ত বাবার সঙ্গে পাশে খেলায় মগ্ন।

আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা যায়। ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শত শত মানুষ অপেক্ষা করছে পরিবহনের জন্য। কেউ দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও যানবাহনে উঠতে পরছেন না। দূরপাল্লার সঙ্গে লোকাল বাসও যাচ্ছে অন্য জেলায়। তবে রয়েছে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ। তবে মহাসড়কে যানজট নিরসনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা তেমন চোখে পড়েনি। অনেকে আবার বিকল্প উপায় হিসেবে ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার শিল্প-কারখানা ছুটির পর বিকেল থেকে সাভারের আওতাধীন ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আবদুল্লাপুর মহাসড়কে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। এ সময় রাতে দীর্ঘ যানজটে সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সেই চাপ দেখা যায়।

আজমল হোসেন বলেন, ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে বসে আছি। যানবাহন পাচ্ছি না। কিভাবে যাব? সেই উপায় খুঁজতেছি। বসার কোনো জায়গা নেই, রোদের মধ্যেই বসে আছি।

আরেক দম্পতি টাঙ্গাইলে যাওয়ার জন্য দুই ঘণ্টা ধরে সড়কের পাশে হাঁটছেন। একবার সমানে, আরেকবার পেছনে আসছেন। তবে কোনোভাবেই উঠতে পারছেন বাসে।

রহিম উদ্দিন বলেন, এক শ টাকার ভাড়া ৬০০ টাকা। তা-ও গাড়ি নাই। অনেকক্ষণ ধরে বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ঘুরতেছি, ফিরতেছি। গাড়ি নাই। বাচ্চা নিয়ে আছি। অনেক কষ্ট-ভোগান্তি।

তার স্ত্রী শাপনা বেগম বলেন, ‘এখানে যাই, ওখানে যাই। গাড়ি নাই। বাচ্চা নিয়ে কষ্ট করতেছি। তবে বাড়ি গিয়ে সবার মুখ দেখলেই কষ্ট ভুইলা যামু। ‘

অপর এক যাত্রী বলেন, কাছের কোনো জায়গায় যেতে চাইলে বাস নেয় না। বাড়তি ভাড়া দিলেও নেয় না। তারা দূরের যাত্রী নেয়। আমি গাজীপুর যামু নিবে না।

এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, কারখানা ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। মূলত প্রায় মানুষ এক সঙ্গে রওনা হয়েছে। ফলে কিছুটা যানজটসহ গাড়ির চাপ ছিল। তবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে চাপ কমতে থাকে। আমাদের দুই শতাধিক সদস্য এইসব মহাসড়েক যানজট নিরসনে কাজ করছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত