১৬ প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়ার অনুমতি দিল সিঙ্গাপুর

| আপডেট :  ১০ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৬  | প্রকাশিত :  ১০ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৬


১৬ প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়ার অনুমতি দিল সিঙ্গাপুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


খাবারে পোকামাকড় কথাটা শুনলেই এক অদ্ভুত অস্বস্তি কাজ করে। বাংলাদেশে প্রায়ই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে বা রেস্টুরেন্টের খাবারে পোকামাকড় পাওয়ার খবর শুনতে পাওয়া যায়। এতে তুমুল আলোচনা সমালোচনাও হয়ে থাকে, কিন্তু এবার এই পোকামাকড়ই এক প্রকার খাবারে পরিণত হচ্ছে!

সম্প্রতি ১৬ প্রজাতির কীটপতঙ্গ মানুষের খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর। এ তালিকায় রয়েছে ফড়িং, পঙ্গপাল, নানা রকম ঝিঁঝিপোকা, রেশম পোকাসহ আরও নানা ধরনের কীটপতঙ্গ। দীর্ঘ গবেষণার পর এসব মানবদেহের জন্য নিরাপদ মনে করেছে সিঙ্গাপুরের খাদ্য সংস্থা (এসএফএ)।

এমনকি সংস্থাটি বলছে, প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এ সিদ্ধান্ত বেশ কাজ আসতে পারে।

এর ফলে দেশটিতে অনুমতিপ্রাপ্ত পোকামাকড় খাওয়ার জন্য উৎপাদন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা যাবে। তবে বন-জঙ্গলের পোকামাকড় ধরে কারও খাবারের প্লেটে দেওয়া যাবে না। কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদন করা পোকামাকড়ই কেবল খাওয়া যাবে। আমদানির ক্ষেত্রেও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সিঙ্গাপুরের মানদণ্ড মানতে হবে।

এসএফএ’র তালিকায় আছে- ঝিঁঝিপোকা, ফড়িং, পঙ্গপাল, রেশম পোকা, গ্রাউন্ড মেলওয়ার্ম, নানা ধরনের মথ ও লার্ভা, এক প্রজাতির মৌমাছি ইত্যাদি।

এদিকে এ ঘোষণায় দেশটির রেস্তোরাঁ মালিকরা বেশ খুশি। এমনকি অধিবাসীদের একটি অংশও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। কারণ, চীন, জাপানসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসাদের অনেকের পছন্দ এসব কীটপতঙ্গ। তথ্য বলছে, এ সিদ্ধান্তে চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে লাখো টাকার পোকামাকড় আমদানি খুব শিগগির শুরু করবেন ব্যবসায়ীরা।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা দীর্ঘদিন থেকে পোকামাকড় খেতে প্রচার চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে মানুষ ও পশুর প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে তা উৎপাদন এবং খাদ্যসামগ্রী তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছে।

সূত্র জানায়, নতুন এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এর ফলে সিঙ্গাপুরে এখন থেকে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বা সেগুলোর থেকে তৈরি পণ্য আমদানি ও ব্যবহারে আর কোনো বাধা থাকবে না। এসব কীটপতঙ্গ শুধু মানুষের খাদ্য হিসেবেই নয়, খাদ্য উৎপাদনকারী পশুদের খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

স্ট্রেইটস টাইমস-এর তথ্য অনুযায়ী, সিঙ্গাপুরের খাদ্য সরবরাহকারীরা ইতোমধ্যে চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের নিয়ন্ত্রিত খামার থেকে কীটপতঙ্গ আমদানির পরিকল্পনা করছে। এসএফএর নির্দেশিকা অনুযায়ী, আমদানি করা বা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কীটপতঙ্গগুলোকে কঠোর খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে, যাতে এগুলো বন্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা না হয়।

এসএফএর এই পদক্ষেপ সিঙ্গাপুরে নতুন ধরনের খাদ্য পণ্য হিসেবে কীটপতঙ্গের ব্যবহারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত