২০২৩ সালে ২৭ হাজারের বেশি অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০২, ক্ষতি ৭৯২ কোটি টাকা
গেল বছর সারাদেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সেই হিসেবে দিনে গড়ে প্রায় ৭৬টি ঘটনা ঘটে। এসব আগুনের ঘটনা বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা এবং গ্যাসের লাইন থেকে ঘটে বলে প্রাথমিক ও তদন্তে ওঠে এসেছে। আর এই অগ্নিকাণ্ডগুলোতে সারাদেশে ১০২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৮১ জন। ৪ ফেব্রুয়ারি, রবিবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে এই অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয় এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যমে এক হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা করে। আগুন নেভানোর সময় ৪৮ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নিনির্বাপণে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন কর্মী নিহত হন। এসব দুর্ঘটনার কারণভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে নয় হাজার ৮১৩টি (৩৫.৫২ শতাংশ), বিড়ি সিগারেট জ্বলন্ত টুকরা থেকে চার হাজার ৯০৬টি (১৭.৭৬ শতাংশ), চুলা থেকে চার হাজার ১১৭টি (১৫.১১ শতাংশ), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি (৩.৩৪ শতাংশ), গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি (২.৭৯ শতাংশ), গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি (০.৪৫ শতাংশ) এবং বাজি পোড়ানো থেকে ৮৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে। সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি/আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারাদেশে বাসা বাড়িতে মোট ছয় হাজার ৯৫৬টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৫.১৮ শতাংশ। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাঁদায় চার হাজার ২৭৭টি, রান্না ঘরে দুই হাজার ৯৩৮টি, দোকানে এক হাজার ৮২১টি, হাট-বাজারে এক হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে। পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে স্থলপথে চলে এমন যানবাহনে ৫০৬টি, নৌ-যানে ৭৩টি এবং ট্রেনে ১২টি আগুনের ঘটনা ঘটে। মাসভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৩ সালে মার্চ (৩,৩৩৪টি), এপ্রিল (৩,১৪১টি), মে (৩,২৩৫টি) এই তিন মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২,৬৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২,৭১৩টি, জুন মাসে ২,৪৫০টি আগুন লাগে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এই চার মাসে আগুনের ঘটনা কম ঘটে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ২৮১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২২১ ও নারী ৬০ জন এবং নিহত ১০২ জনের মধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী। বিবার্তা/জবা
২০২৩ সালে ২৭ হাজারের বেশি অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০২, ক্ষতি ৭৯২ কোটি টাকা
জাতীয়
বিবার্তা প্রতিবেদক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত
