২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ২৮ জন ভর্তি
দেশে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ২৮ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ জন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তবে এ সময়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। ফলে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২৪ জনে অপরিবর্তিত আছে। ২৯ এপ্রিল, সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকা মহানগরে এবং বাকিরা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সময়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৩০ জন। এদিকে গত ১ জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন মোট দুই হাজার ১৮৫ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে এক হাজার ৩৪৭ জন (৬১ দশমিক ৬০ শতাংশ) পুরুষ এবং ৮৩৮ জন (৩৮ দশমিক ৪০ শতাংশ) নারী রয়েছেন। আর মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী রয়েছেন। প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালে জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ২০২৩ সালে সারাদেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এছাড়া ২০২২ সালে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান। বিবার্তা/সউদ
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ২৮ জন ভর্তি
স্বাস্থ্য
বিবার্তা প্রতিবেদক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত