ভোট শুরুর পর ট্রাক নিয়ে সরে দাঁড়ালেন যশোরের লিটন

| আপডেট :  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৩  | প্রকাশিত :  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৩


ভোট শুরুর পর ট্রাক নিয়ে সরে দাঁড়ালেন যশোরের লিটন

যশোর প্রতিনিধি


অনিয়ম ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন যশোর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নিজের নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আজ আমার ৯ এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটার ও কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। ৫৫টি কেন্দ্র দখল করে নেওয়া হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর আমাকে মারধর করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এখন যে পরস্থিতি তাতে যে কোনো মায়ের বুক খালি হতে পারে। আমি এমন ভোট চাই না।

তিনি আরও বলেন, ওরা প্রমাণ করেছে যে সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। হয়তো ১০ শতাংশ ভোট পড়বে। কিন্তু তারা ৫০ শতাংশ ভোট দেখানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। যে কারণে এমন প্রহসনের নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়াচ্ছি।

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।

এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত