তীব্র গরমে গলে গেল আব্রাহাম লিংকনের মোমের মূর্তি

| আপডেট :  ২৮ জুন ২০২৪, ১২:৫৭  | প্রকাশিত :  ২৮ জুন ২০২৪, ১২:৫৭


তীব্র গরমে গলে গেল আব্রাহাম লিংকনের মোমের মূর্তি

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। উত্তর-পশ্চিম ওয়াশিংটনের তাপমাত্রা ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে(১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ) পৌঁছেছে। আর তাতেই হল বিপত্তি। রোদের আঁচে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের মোমের একটি মূর্তি গলে গিয়েছে।

বিশিষ্ট এই মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন সারা পৃথিবীতেই একজন সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত। রিচমণ্ড শিল্পী স্যান্ডি উইলিয়ামস উত্তর-পশ্চিম ওয়াশিংটনের গ্যারিসন এলিমেন্টারি স্কুলের মাঠে ক্যাম্প নার্কারের ঐতিহাসিক স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম প্রেসিডেন্টের মোমের মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন।

আমেরিকা যখন গৃহযুদ্ধে জর্জরিত, সেই সময় দাসত্ব থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আফ্রিকান-আমেরিকানদের জন্য আশ্রয় গড়ে তোলা হয় ওই এলাকায়। দাসত্ব ঘোচানোয় লিঙ্কনের ভূমিকা স্মরণ করেই সেখানে ওই মূর্তিটি বসানো হয়েছিল। মূর্তিটির উচ্চতা ছিল ছয় ফুট। এই মূর্তিটি শিল্পী স্যান্ডি উইলিয়ামসের ‘দ্য ওয়াক্স মনুমেন্ট সিরিজ’-এর অংশ ছিল।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গলে যাওয়া ছয় ফুট উচ্চতার মূর্তিটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। তবে মূর্তিটি গলে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গলে যাওয়ার কারণেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে একই স্থানে আব্রাহাম লিংকনের মূর্তির দ্বিতীয় সংস্করণটি বসানো হয়। মূর্তিটির কিছু অংশ আবারও গলে যায়।

এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে বসানো হয়েছিল মূর্তিটির তৃতীয় সংস্করণ। বাড়তি গরমের কথা বিবেচনা করে ছায়াঘেরা স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল নতুন মূর্তিটি। তবে সম্প্রতি এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে পৌঁছে যাওয়ায় মূর্তিটি আবারও গলে গেল।

তীব্র গরমে প্রথমে আব্রাহাম লিংকনের মোমের মূর্তির মাথা অদৃশ্য হয়ে যায়। এরপর ধীরে ধীরে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় একটি পা। পায়ের পাতা গলে পটকা মাছের আকার নেয়। এক পর্যায়ে মূর্তিটি যে মোমের বেঞ্চে বসানো ছিল সেটিও গলে ঢিবিতে পরিণত হয়।

শিল্পী স্যান্ডি উইলিয়ামসের ‘দ্য ওয়াক্স মনুমেন্ট সিরিজ’-এর অংশ ছিল আব্রাহাম লিংকনের মূর্তিটি। ইতিমধ্যেই গলে যাওয়া মূর্তিটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নানা কমেন্ট আসতে শুরু করে । একজন মজা করে লেখেন, ‘১৬ ঘণ্টা কাজের পরে এমনই অবস্থা হয় আমার’! তবে কেউ কেউ সিরিয়াস কমেন্টও করেন। যেমন একজন লেখেন, ‘এবার হয়তো আমেরিকানরা বিশ্বাস করবে যে, জলবায়ু সত্যিই বদলাচ্ছে’!

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত