পাহাড়ে কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মির নাশকতার ছক

| আপডেট :  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৩  | প্রকাশিত :  ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২৩


পাহাড়ে কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মির নাশকতার ছক

বান্দরবান প্রতিনিধি


পাহাড়ে সংসদ নির্বাচনকালীন সময় সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর ব্যস্ততার ফাঁকে বড় ধরনের নাশকতার ছক কষছিল কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। কিন্তু বড় ধরনের নাশকতার আগেই সেই ষড়যন্ত্রের ছক ভেঙ্গে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।

১১ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকালে পাহাড়ের চূড়ায় একই স্থানে ৭টি বাঙ্কার ধ্বংস করা ছাড়াও দেশীয় গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কে নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে বালুপাহাড়। দুই পাহাড়ের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি ঢালে উঠার সময় রাস্তা ঘেঁষে পাহাড়ের চূড়ায় প্রায় একশ গজের মধ্যে খনন করা হয়েছে একাধিক বাঙ্কার।

যেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করা সহজ বলে মনে করছিল সন্ত্রাসীরা। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকাটি গত দুই বছর ধরে পাহাড়ের আলোচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নিয়ন্ত্রিত।

শান্তি আলোচনা চলাকালীন গোপনে কেএনএ কি কারণে এমন তৎপরতা চালিয়েছে তা স্পষ্ট করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমন তৎপরতায় খোদ হতাশা প্রকাশ করেছেন বম সম্প্রদায়সহ শান্তি কমিটির সদস্যরা।

এই প্রসঙ্গে বম সম্প্রদায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির নেতা পাকসীম, বৈথাং বম, লাল থাংসহ স্থানীয়রা জানান, আলোচনা চলাকালীন এমন ঘটনা দুঃখজনক। তবে বিষয়টি আগামী শান্তি আলোচনা বৈঠকে অবশ্যই উত্তাপন করা হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজিমনে স্থানীয়রা জানান, গত কিছুদিন ধরে রোয়াংছড়ি-রুমা সড়কে গাড়ি থামিয়ে একাধিক মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছে কেএনএফ।

গত ৮ জানুয়ারি সাতকানিয়া উপজেলার মো. ফারুখ, মো. শাহ আলমসহ দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে রোয়াংছড়ি হয়ে রুমা যাওয়ার পথে সোয়ানলুপাড়া, বালুপাহাড় এলাকায় মুখোসধারী একদল লোক তাদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা নেয়। পরে এ ঘটনায় রোয়াংছড়ি থানায় অভিযোগ করা হয়।

এই প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী জানান, দুই মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর এর পেছনে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

২০২২ সালের এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়োংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলাগুলোর সমন্বয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছিল। পরে অস্ত্রধারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয় পার্বত্য জেলা পরিষদ। এরই প্রেক্ষিতে কেএনএর সঙ্গে শান্তি কমিটির একাধিক অনলাইন ও সরাসরি বৈঠক হয়। এখনও চলমান রয়েছে আলোচনা।

এমন সময় আবারও কেএনএ এর চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী তৎপরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত