যে কারণে ভারতে পদদলিত হয়ে ১০৭ জন নিহত

| আপডেট :  ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:৩০  | প্রকাশিত :  ০৩ জুলাই ২০২৪, ০১:৩০


যে কারণে ভারতে পদদলিত হয়ে ১০৭ জন নিহত

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাসে ভোলে বাবার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতও হয়েছে বহু মানুষ।

২ জুলাই, মঙ্গলবার রাজ্যের হাতরাস জেলায় ‘শিব স্মরণে’ ভোলে বাবার এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন ভোলে বাবা নিজেই। মূলত তার ভাষণ শুনতেই ভক্তরা সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, হাথরাস জেলার সিকান্দ্রা রাও এলাকার রাতি ভানপুর গ্রামে বিশেষ তাঁবু টানিয়ে সৎসঙ্গ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ধর্মীয় এক প্রচারক অনুসারীদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ বলেছে, তাঁবু ঘেরা অনুষ্ঠানে এত বেশি মানুষ এসেছিল যে পরিস্থিতি দমবন্ধের মতো হয়ে গিয়েছিল। লোকেদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হতেই তারা বাইরে বের হতে ছুটোছুটি শুরু করে। এ সময় ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি হয়। অনুষ্ঠান চলাকালীন পরিবেশ খুব গরম ও আর্দ্র ছিল।

অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেঁচে ফেরা এক ব্যক্তি বলেছেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সাথে সাথে লোকজন সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছিলেন। সেই সময়ই এই পদদলনের ঘটনা ঘটেছে।

পদদলনে আহত অপর একজন বলেন, ‌‘‘দুর্ঘটনাস্থলে ভক্তদের প্রচুর ভিড় ছিল। সেখান থেকে বের হওয়ার কোনও উপায় ছিল না। লোকজন তাড়াহুড়ো করে বের হতে গিয়ে একে অপরের ওপর পড়ে যায় এবং পদদলনের শিকার হয়। আমি বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পথে মোটরসাইকেল পার্ক করে রাখায় আমার বাইরে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়লেও অন্যরা মারা যান।’’

ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করে অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘আমরা সৎসঙ্গের জন্য এসেছি। সেখানে প্রচুর ভিড় ছিল। সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরপরই আমরা বাইরে চলে যেতে শুরু করি। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ অনেক সরু ছিল। আমরা যখন মাঠের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন হঠাৎ করে হৈ চৈ শুরু হয়। সেই সময় আমরা কী করব বুঝতে পারছিলাম না। অনেক মানুষ মারা গেছেন।’’

আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘‘সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার সাথে সাথে সবাই বেরিয়ে আসতে শুরু করে। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরের একটি ড্রেন ঘেঁষে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। এই রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় একের পর এক মানুষ ড্রেনে পড়তে থাকেন। এতে কিছু মানুষ পিষ্ট হয়েছেন।’’

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত