রফতানি তথ্যে গরমিল: এনবিআর ও ইপিবিকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

| আপডেট :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২১  | প্রকাশিত :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২১


রফতানি তথ্যে গরমিল: এনবিআর ও ইপিবিকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

জাতীয়

বিবার্তা ডেস্ক


রফতানি তথ্যের হিসাবে গরমিলের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোকে (ইপিবি) দায়ী করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের রফতানি আয়ের হিসাব থেকে শত শত কোটি ডলারের তথ্য মুছে ফেলার ব্যাখ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এমনটা বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেরিফিকেশন সিস্টেমে গত দুই অর্থবছরে ২০ মাসে আনুমানিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের গরমিল পাওয়া গেছে।

সরকারকে দেয়া এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়েছে, এই বিশাল ঘাটতির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন আর্থিক পরিসংখ্যান উল্টে গেছে।

রফতানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে চলে গেছে। আর রফতানির বিপরীতে রেমিট্যান্স আসার লক্ষ্যমাত্রা কমে যাওয়ায় রাজস্ব খাতে ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে।

চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এক বৈঠকে এনবিআরের প্রতিনিধি ইতোমধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি জানান, একই পণ্য রফতানির জন্য একাধিক রফতানি হিসাব রয়েছে, যা সার্ভারে নতুন করে ইনপুট দেয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকের শাখা থেকে রফতানি আয়ের তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে ডাটা ও প্রকৃত রফতানির মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংগ্রহ করা এবং ইপিবি প্রকাশিত রফতানি তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতির কারণ চিহ্নিত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, একই রফতানি তথ্য এবং পণ্যের এইচএস কোড একাধিকবার ইনপুট করা হয়েছে।

পণ্যের কাটিং, মেকিং ও ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু ম্যানুফ্যাকচারিং চার্জ দিতে হয়। তবে কাপড়সহ সব অংশের হিসাব রেখেছে ইপিবি। ইপিবি অনেক সময় নমুনা পণ্যের দামও ইনপুট করেছে, যা নমুনা পণ্যের মূল্য হিসেবে আসার কথা নয়।

সূত্র: ইউএনবি

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত