তিস্তা প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি ভারত-চীন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

| আপডেট :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১২  | প্রকাশিত :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১২


তিস্তা প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি ভারত-চীন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

বিবার্তা প্রতিবেদক


তিস্তা প্রকল্পে ভারত-চীন একসঙ্গে কাজ করতে রাজি আছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

৭ জুলাই, রবিবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় তিনি এ তথ্য জানান।

উজান থেকে আসা পানিতে প্রতিবছর বন্যায় আক্রান্ত না হয়ে এর বিকল্প কোনো চিন্তা-ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানি আসবে। পানিকে দ্রুত নিষ্কাশন করে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে যেতে হবে। এখানে আমাদের ড্রেজিংয়ের ব্যাপার আছে। তিস্তা ব্যারেজ এই প্রকল্পের একটা অংশ। সেটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। আগামীকাল তিনি চীন যাচ্ছেন, তিস্তার ব্যাপারে ভারত ও চায়না- দুই দেশ আমাদেরকে সাহায্য করতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, পানিটা তো প্রাকৃতিকভাবে আসে। আমাদের কিছু করার নাই। পানিটা যাতে দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে যতটা কম প্লাবিত হয় সেভাবে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকার কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিস্তা নিয়ে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা আছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চুক্তি না। তিস্তা তো আমাদের প্রকল্প। চীন এটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করেছে এবং প্রকল্পটি বাংলাদেশ নেবে। এটার ফান্ড ভারতও দিতে চাচ্ছে, চায়নাও দিতে চাচ্ছে। আমাদের ভালো খবর হলো, চীন ইতোমধ্যে বলেছে যে তারা ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন, দেশের প্রয়োজনে আমার দেশ কার কাছ থেকে অর্থ নিলে উপকার হবে, দেশ উপকৃত হবে, বাংলাদেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকবে তার কাছ থেকেই আমরা নেব। এটা হলো সব চেয়ে বড় দেশপ্রেমের কথা। কোন দেশ দিলে কে দিলো সেটা বড় কথা নয়। আমার দেশ কার থেকে অর্থ নিলে বেশি উন্নত হবে, তার থেকে প্রধানমন্ত্রী নেবে। সেভাবেই প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন।

দেশের অনেক অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, যেসকল এলাকায় বন্যা হয়েছে, সেসব জেলার ডিসি নিশ্চিত করেছেন যে তাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। পরিস্কার বলতে চাই ত্রাণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ ত্রাণ না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তারপরও যদি এমন তথ্য আমাদের কাছে আসে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এছাড়া ৯৯৯-এ কল দিলেও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। বাংলাদেশের এমন কোনো গ্রাম-ইউনিয়ন নেই, যেখানে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী নেই। এখন পর্যন্ত আমাদের কোথাও কোনো ঘাটতি নেই।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় বন্যাকালীন ত্রাণ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়ে রাখা হয়েছে। এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। ভবিষতেও দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি। সমগ্র পৃথিবীতে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ একটা মডেল।

মুহিববুর রহমান বলেন, বন্যা পরবর্তী ক্ষতি যাতে মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেন, সেসব বিষয়েও কাজ করছি। বন্যায় ত্রাণ সরবরাহে যাতে কোনো সমন্বয়হীনতা না থাকে, সেদিকে খেয়াল রেখে সব জেলার ডিসির সাথে জুম মিটিং করেছি। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত