চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ

| আপডেট :  ১০ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৬  | প্রকাশিত :  ১০ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩৬


চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি


বিরূপ আবহাওয়ার কারণে চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ। জেলার অধিকাংশ মানুষ জ্বর-সর্দি-কাশি রোগে ভুগছেন। জ্বর-সর্দি-কাশির তীব্রতা থাকছে তিন থেকে অন্তত সাতদিন। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা।

১০ জুলাই, বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, দুই মেডিসিন ওয়ার্ডে তিল পরিমাণ জায়গা নেই। মেঝেতেও ঠাঁই মিলছে না রোগীর। শুধু জ্বরই নয়, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগীরাও আসছেন প্রতিনিয়ত।

এছাড়া প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে শুধুমাত্র ৪০০-৫০০ রোগী জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, এটি ভাইরাসজনিত জ্বর। বৃষ্টির কারণে কিছুটা ঠান্ডা আবার  গরম ফলে এমন রোগের প্রকোপ বেড়েছ। এই সময় সাবধান থাকতে হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিনে অর্থাৎ ৭ জুলাই থেকে ৯ জুল পর্যন্ত দুটি ওয়ার্ডে মোট ভর্তি হয়েছেন ৫৪৫ জন রোগী। এর মধ্যে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ৪৬টি এবং কেবিন ৩টি। পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৬৫টি এবং কেবিন ২টি। এর বিপরীতে গত তিনদিনে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৬০ জন এবং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৮৫ জন ভর্তি হয়েছেন। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছেন এই দুই ওয়ার্ডে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই জ্বরে আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে বয়োবৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি।

এছাড়া জ্বরের সঙ্গে কাশি, শ্বাসকষ্ট, হার্টসহ বিভিন্নজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। একদিকে রোগীদের চাপ, অপরদিকে ভ্যাপসা গরমে রোগী ও স্বজনদের হাঁসফাঁস অবস্থা।

শিউলি বেগম নামের এক নারী বলেন, তিন দিন যাবৎ জ্বরে আক্রান্ত মাকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন তিনি। ওয়ার্ডে রোগীদের প্রচণ্ড চাপ।

শাশুড়িকে নিয়ে হাসপাতালে থাকা পারভিন আক্তার  বলেন, চারদিন আগে আমার শাশুড়ি ঠাণ্ডা-জ্বর-শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার ভর্তি করিয়ে দেন। রোগীদের চাপ বেশি। তবে চিকিৎসক-নার্সরা সেবা দিচ্ছেন।

কর্তব্যরত নার্সরা জানান, ওয়ার্ডে জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাটাই বেশি। ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীদের চাপ বেশি হওয়ায় সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবে আমরা সাধ্যমতো সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।

বিবার্তা/আসিম/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত