‘নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবে শিক্ষার্থীরা, শিগগিরই সিদ্ধান্ত’

| আপডেট :  ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৩  | প্রকাশিত :  ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৩


‘নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবে শিক্ষার্থীরা, শিগগিরই সিদ্ধান্ত’

বিবার্তা ডেস্ক


রাষ্ট্র সংস্কার করতে নিজেদের রাজনৈতিক দল আনার চিন্তাভাবনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। যাদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সেই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে নতুন দল গঠনের চিন্তাভাবনা করছেন।

আন্দোলনে জড়িত ৪ ছাত্রনেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এসময় গত ১৫ বছর যা হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন এসব ছাত্রনেতা। একইসাথে এক মাসের মধ্যেই তারা নতুন দল গঠনের চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানান।

এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতাদের আশা, শেখ হাসিনা যেভাবে গত ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই নতুন দলের প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রধান উপদেষ্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন দফায় ২১ জন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। এই সরকারে ছাত্রদের পক্ষ থেকে দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দেশে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বৈত প্রথার অবসান ঘটাতে একটি রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রদের পক্ষ থেকে সরকার, শিক্ষক, অধিকারকর্মী ও সামাজিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যোগাযোগের লক্ষ্যে গঠিত লিয়াজোঁ কমিটির সভাপতি মাহফুজ আলম।

২৬ বছর বয়সী এই তরুণ রয়টার্সকে বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তিনি জানিয়েছেন, দল গঠনের আগে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভোটারদের সঙ্গে আলোচনা করতে চান, তাদের পরামর্শ গ্রহণ করতে চান।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘দুই রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষ সত্যিই ক্লান্ত। আমাদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা আছে।’

তাহমিদ চৌধুরী, আরেক ছাত্র সমন্বয়কারী বলেছেন, আমাদের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার ‘উচ্চ সম্ভাবনা’ আছে। আমরা এখনো নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছি। আর যদি দল গঠন করা হয়, তবে ধর্মনিরপেক্ষতা-বাক্‌স্বাধীনতাকে দলের মূলনীতি করা হবে। তিনি বলেন, ‘দুই দলের প্রাধান্য ভাঙতে এ ছাড়া আমাদের সামনে দ্বিতীয় আর কোনো পরিকল্পনা নেই।’

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আন্দোলনের চেতনা ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করা, যেখানে কোনো ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী ফিরে আসতে পারবে না। এটি নিশ্চিত করার জন্য, আমাদের কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন এবং এটি করতে কিছু সময় লাগবে।’ তবে তিনি কোনো রূপরেখা দেননি।

নাহিদ ইসলাম জানান, নির্বাচন দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে আহ্বান জানাচ্ছে, সে বিষয়টি সরকার এখনই বিবেচনা করছে না।

এ ব্যাপারে সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এখন অজানা নদীতে এসে পড়েছি। সেটা আইনগত ও রাজনৈতিকভাবেও। এই অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা কেমন হবে তাও বলা যাচ্ছে না। কেননা এই সরকার আইন মেনে হয়নি।’

বিবার্তা/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত