ত্রাণ পৌঁছায়নি দুর্গত এলাকায়, খাবারের জন্য হাহাকার

| আপডেট :  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১১  | প্রকাশিত :  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১১


ত্রাণ পৌঁছায়নি দুর্গত এলাকায়, খাবারের জন্য হাহাকার

সারাদেশ

ফেনী প্রতিনিধি


অতিবৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের পানিতে বন্যায় কবলিত হয়েছে ফেনী জেলার ৮০ ভাগ গ্রাম। এতে জেলার ১০ লক্ষ মানুষ পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এমতাবস্থায় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের আশপাশে এবং উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রিক ত্রাণ সহযোগিতা পেলেও প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে পৌঁছাচ্ছেনা ত্রাণ সহায়তা। সেখানে খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে । স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি ক্ষুধার্ত অধিকাংশ শিশু। ফলে অধিকাংশ জায়গায় ত্রাণের জন্য হাহাকার দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে বন্যায় পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার মানুষজন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরবর্তীতে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা আক্রান্ত হয়। এতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ দুর্যোগের শিকার হয়েছে। ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। অবশিষ্ট লোকজন বিভিন্ন উপজেলায় উঁচু ভবনসমূহে ও ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন।

বন্যাকবলিতদের জরুরি চিকিৎসায় জেলায় ১টি ও উপজেলায় ৬টি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এছাড়া বেসরকারিভাবে ৭টি হাসপাতালে মেডিকেল ক্যাম্প চালু রয়েছে। তবে বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকে সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি দল ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী টিম ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকায়  নৌকা ও ট্রলার নিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে। পাশাপাশি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণেও সহায়তা করেন তারা।

কিন্তু বন্যার পানি ও যাতায়াত সমস্যায় ত্রাণবাহী গাড়ি প্রান্তিক এলাকায় না যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই খাদ্য-সুপেয় পানির সংকটে পড়ে যায়। এছাড়া স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি ক্ষুধার্ত অধিকাংশ শিশু।

জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে সব কয়টি বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা। এসব উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় সরকারি-বেসরকারি কোনো ত্রাণই এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উঠে। ফলে বন্যার্ত মানুষ সীমাহীন কষ্টে দিন যাপন করছেন।

নবাবপুরের বাসিন্দা ইলিয়াছ সুমন বলেন, সুলতানপুর আশ্রয়ণের লোকজন ৮দিন যাবৎ পানিবন্দি। সরকারি কোন ত্রাণ পৌঁছায়নি সেখানে।

ফুলগাজীর বাসিন্দা জহিরুল জাহাঙ্গীর বলেন, বন্যায় বসতবাড়ির সব কিছু তছনছ হয়ে গেছে কিন্তু পরিবার নিয়ে খেয়ে বেঁচে থাকার জন্যও তেমন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক  শাহীনা আক্তার জানান, আমাদের সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ৬২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ৫৬ হাজার ৫শত প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত