শুল্ক কমেছে আলু, কীটনাশকে; পেঁয়াজে প্রত্যাহার

| আপডেট :  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯  | প্রকাশিত :  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৯


শুল্ক কমেছে আলু, কীটনাশকে; পেঁয়াজে প্রত্যাহার

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


দাম কমিয়ে আনতে কীটনাশকে ২০ শতাংশ ও আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।

এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কীটনাশক আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, তুলে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও ভ্যাট।

আলুর আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং প্রযোজ্য ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের উপর প্রযোজ্য ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের ওপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়। তাই কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত করতে উল্লিখিত শুল্ক ছাড় চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ করা হয়েছে।

গৃহীত এই কার্যক্রমের ফলে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যে কোন রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নীতি সহায়তা প্রদানে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব যোগানে মূল ভূমিকা পালনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একইভাবে সচেষ্ট থাকবে।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত