গাজায় ‘প্রতি ঘণ্টায় দুজন মায়ের প্রাণহানি’: জাতিসংঘ

| আপডেট :  ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯  | প্রকাশিত :  ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯


গাজায় ‘প্রতি ঘণ্টায় দুজন মায়ের প্রাণহানি’: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলার শুরু থেকেই প্রত্যেক ঘণ্টায় দুজন করে মা প্রাণ হারাচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে দুজন মাকে হত্যা করা হয়।

বিশ্বজুড়ে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের আওতাধীন ইউএন উইমেন।

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয় ২৪ হাজার ৬২০ ফিলিস্তিনি, যাদের ৭০ শতাংশই নারী কিংবা শিশু।

এতে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ তথা ১৯ লাখ মানুষ। ইউএন উইমেনের হিসাব অনুযায়ী, তাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ নারী ও মেয়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার মোট জনসংখ্যা ২২ লাখের মতো, যারা তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছেন।

গাজায় প্রাণহানির ব্যাপকতা তুলে ধরতে গিয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহুস বলেন, ‘এরা মানুষ, সংখ্যা নয় এবং আমরা তাদের রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছি।’

ইউএন উইমেন গাজার নারীদের ওপর যৌন সহিংসতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, জড়িতদের দায়ী করার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার ও সহায়তা দিতে হবে।

লৈঙ্গিক সমতা প্রচারকারী সংস্থা ইউএন উইমেন গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে নারী ও মেয়েরা নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয় থেকে বঞ্চিত। তারা এখন ‘আসন্ন অনাহার ও দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি’ হয়ে দিন কাটাচ্ছে।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহাউস এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ ১০০ দিন ও নিহতের সংখ্যা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যে আঘাত হেনেছে, তা আগামী প্রজন্মকেও তাড়িত করবে।

আরো বলেন, আজ গাজার নারী ও মেয়েদের অবস্থা নিয়ে আমরা যতই শোক করি না কেন, আগামীকাল মানবিক সহায়তাবিহীন অবস্থায় এবং ধ্বংস ও হত্যার মাধ্যমে সমাপ্তি নিয়ে শোক করব।

ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৪ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬২ হাজার ১০৮ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

অন্যদিকে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলায় প্রায় এক হাজার ৩০০ জন নিহত হয়। জিম্মি হিসেবে ধরা নেয়া হয় ২৪০ জনকে, যাদের মধ্যে কয়েক ডজন এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছেন।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত