চুয়াডাঙ্গায় নার্সকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার

| আপডেট :  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৩  | প্রকাশিত :  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৩


চুয়াডাঙ্গায় নার্সকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি


চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত সেবিকা হাফিজা খাতুনকে (৩৫) গলা কেটে হত্যার অভিযোগে দ্বিতীয় স্বামী কবির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে কবির হোসেনকে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ তার কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো একটি ছুরি উদ্ধার করেছে।

এর আগে শনিবার (২৭ জানুয়ারি)  রাত পৌনে ৯ টার সময় জীবননগর পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কে মা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাফিজাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।

নিহত হাফিজা খাতুন জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের হালসানা পাড়ার শমসের আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার বালিহুদা গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী।

খবর পেয়ে রাতেই চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাসহ (দামুড়হুদা সার্কেল) পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী জাকির আহম্মেদ শামীম বলেন, আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি। রাতে আমার  ক্লিনিকের সেবিকা বিউটি খাতুন আমাকে ফোন করে জানায় রিসিপসনের সামনে হাফিজা খাতুনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় অন্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

বিউটি খাতুন শামীমকে আরও জানান, শনিবার সকালে হাফিজার দ্বিতীয় স্বামী কবির হোসেনের সাথে তার ঝগড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তার স্বামী কবির হোসেন তাকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাগবির হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হাফিজা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, হাফিজা খাতুনের প্রথম বিয়ে হয় মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামে। প্রথম পক্ষের একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রথম পক্ষের স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। পরে হাফিজা দেড় বছর আগে জীবননগর উপজেলার বালিহুদা গ্রামের কবির হোসেনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন।

নিহত হাফিজা খাতুনের পিতা শমসের আলী বলেন, আমার মেয়েকে যে বা যারা হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

জানতে চাইলে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, রাতেই হাফিজার ঘাতক স্বামী কবির হোসেনকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা কবির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

বিবার্তা/আসিম/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত