জাতিসংঘের এজেন্সিতে ইসরায়েলের হামলা
ইসরায়েলের অভিযোগ, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সঙ্গে জাতিসংঘ সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। ইসরায়েল অভিযোগ তোলার পরপরই জাতিসংঘের সংস্থাটিকে নতুন করে তহবিল দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানি, ব্রিটেন, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও ফিনল্যান্ড তহবিল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে এই অভিযোগের পর ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইসরায়েলি হামলার মুখে পড়েছে। ইসরায়েলের হামলা তীব্রতর হওয়ায় আরও বেশি লোক গাজার দক্ষিণে মিশরীয় সীমান্তের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনিকে গভীরতর দ্বন্দ্বের কারণে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, বেশ কিছু দেশ সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে। সংস্থাটি শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বলেছে, তারা ইসরায়েলের অনির্দিষ্ট অভিযোগে বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান এক পোস্টে তহবিল হ্রাসের কারণে গাজায় সংস্থাটির কার্যক্রম ধসের কাছাকাছি বলে উল্লেখ করার পর এর প্রতিক্রিয়ায় কাটজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেছেন, ‘মিস্টার লাজারিনি দয়া করে পদত্যাগ করুন।’ কাটজ এর আগে বলেছেন, অঞ্চলটির সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরে গাজার পুনর্গঠনে ইউএনআরডব্লিউএকে ‘প্রকৃত শান্তি ও উন্নয়নে সংস্থার নিবেদিতদের প্রতিস্থাপিত করতে হবে’। হামাস শনিবার ইউএনআরডব্লিউএ-এর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ‘হুমকির’ নিন্দা করে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে ‘হুমকি ও ব্ল্যাকমেল’ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে অক্টোবরের শেষের দিকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ২৬,২৫৭ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বিবার্তা/এমজে
জাতিসংঘের এজেন্সিতে ইসরায়েলের হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত