স্থানীয় যুবকদের সাথে কুবি শিক্ষার্থীদের মারামারি

| আপডেট :  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৭  | প্রকাশিত :  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৭


স্থানীয় যুবকদের সাথে কুবি শিক্ষার্থীদের মারামারি

কুবি প্রতিনিধি


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব ঘটনার জের ধরে মারামারির এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোটবাড়ির বোর্ড মার্কেট এলাকা সংলগ্ন দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর নাম ওবায়দুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একজন শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, কোটবাড়ী বোর্ড মার্কেট সংলগ্ন মামুন স্টোর নামক একটি দোকানের সামনে কয়েকজন স্থানীয় ছেলে বসে ছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাথে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে মারধর করা ব্যক্তিদের মধ্যে রাসেল খান নামে একজনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তিনি কুমিল্লার নাজিরা বাজার এলাকায় থাকেন এবং  তিনি কুমিল্লার লালমাই সরকারি কলেজের একজন শিক্ষার্থী। কোটবাড়ী বোর্ড মার্কেট এলাকায় আড্ডা দেন বলে জানান উপস্থিত ব্যক্তিরা।

এর আগে ২০২২ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় রাসেল খানসহ আরো দুইজনকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আর আসবেন না মর্মে মুচলেকা দেন অভিযুক্তরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ওবায়দুল্লাহ বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের সিনিয়র আপুর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিলো। তাদেরকে সনাক্ত করে তাদের কাছে গিয়েছিলাম কেন তারা এমন করেছে জিজ্ঞেস করতে আর এরকম যেনো কখনো না করে সেটা বলতে। তখন তারা সেই ছিনতাইকারীসহ তিনজন ছিল। আমাদের সাথে কথা বলার সময় তারা ফোন দিয়ে ১০-১২ জনকে ডেকে নিয়ে আসে এবং আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের সাথে দুই-তিনজন ছিল তখন সবাইকে তারা মারধর করেছে।

পূর্বের ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে রাসেল খানসহ আরো কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও ফোন ছিনতাই করে। পরবর্তীতে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীরা রাসেল খানকে চিনতে পারলে তার কাছে এসে ছিনতাই করা টাকা ও ফোন ফেরত চান। তখন কথা কাটাকাটি হয় এবং পরবর্তীতে মারামারির ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. জাহিদ হাসান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে।

এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসএম আরিফুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তের পরই সব কিছু বলা যাবে।

বিবার্তা/প্রসেনজিৎ/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত