শ্রম আইন সংশোধনে তাড়াহুড়ো না করার আহ্বান আইএলও’র

| আপডেট :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৮  | প্রকাশিত :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৮


শ্রম আইন সংশোধনে তাড়াহুড়ো না করার আহ্বান আইএলও’র

বিবার্তা প্রতিবেদক


আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আরও আলোচনা করে করলে ভালো হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

৬ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়াইনেন এর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন আইএলও-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার নীরন রামজুথান, টেকনিক্যাল অফিসার চয়নিচ থামপারিপাত্র, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার চৌধুরী আলবাব কাদির।

আইনমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আজ আমরা শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে যখন বসেছিলাম, তখন যেসব সংশোধনীর কথা বলা হয়েছিল, সেখানে আরও কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। তাছাড়া এবিষয়ে আইএলও-ও কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল।

আইনমন্ত্রী বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও’র চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছেন, তাড়াহুড়ো না করে, আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে।

তিনি বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে একটা কথা জিজ্ঞেস করেছি যে, ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশনে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকবারই বলেন যে, এটা মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে যাবে। আবার নভেম্বরে হবে না মার্চে যাবে। আমি সেজন্য বলেছি মার্চ মাসের গভর্নর বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা তো আমরা নিতে রাজি না। তখন তারা বলেছে, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। আর তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, আমি যে কথাই বলি না কেন এবং আজকের যে আলোচনা সেটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা করতে পারব। আমরা আবার আজকে এটার ধারা ও উপধারা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। কিছু কিছু বিষয় আছে স্টেকহোল্ডারদের সাথেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুটি সিদ্ধান্তে এসেছি। একটা হচ্ছে এই মিটিংটা আবারও পরে অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে আইএলও-এর উদ্যোগে একটা স্টেকহোল্ডার ফ্যাসিলিটি মিটিং হবে। যেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে তাদের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো আলোচনা হবে।

আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, মূল সাজেশন হচ্ছে ধরুন ব্যাপারটা হচ্ছে সংজ্ঞা, সংজ্ঞার মধ্যে তারা বলছেন সি মেন্ট যেটা সেটার নাম বদলিয়ে সি ফেয়ার নাম করা। তারপরে বলছে ম্যানেজার এবং সুপারভাইজার স্টাফদের ওয়ার্কার বলা, এগুলো আমাদের সাথে তাদের সাথে আলোচনা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘ধরুন একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি। আমি বলেছি ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না। ’

ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। ব্যাপারটি হচ্ছে আগে কথা ছিল ১৫ শতাংশ শুধু হবে তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকদের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত