নোয়াখালীতে চুরির নাটক সাজিয়ে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

| আপডেট :  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২২  | প্রকাশিত :  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২২


নোয়াখালীতে চুরির নাটক সাজিয়ে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ

সারাদেশ

নোয়াখালী প্রতিনিধি


নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করতেই চুরির নাটক সাজায় চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০)।

৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, মুন্সী মেম্বার মো. মেহেরাজকে (৪৮) দিয়ে ঘরের সিঁধ কাটিয়ে গরু বেপারী মো. হারুনকে (৪২)কে নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। ওই সুযোগে মেহরাজ ওই নারীর পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। পুলিশ ঘটনার পরপরই সিঁধ কাটার কাজে ব্যবহৃত কোদাল, কাঁচি, কালো প্যান্ট ও কানটুপি জব্দ করে।    

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মুন্সীকে প্রধান আসামি এবং হারুনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৩ টার দিকে চরক্লার্ক ইউনিয়ন থেকে মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, হারুনের সহযোগিতায় ভুক্তভোগী নারীকে খাট হতে টেনে হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে মাটিতে কাঁথা বিছিয়ে আবুল খায়ের মুন্সী মেম্বার পায়ের বাঁধন ও পরিহিত সেলোয়ার খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে হারুন তাকে পুনরায় পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেহরাজ পাশের রুমে থাকা ওই নারীর মেয়েকে (১২) ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় কানে থাকা স্বর্ণের কানের দুল ও ঘরে থাকা নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরে মেয়ের হাতের বাঁধন খুলে দেয় এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি ধমকি দেয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়েছে, মূলত হারুন গৃহবধূর বসতঘরে মালামাল আছে বলে মেহেরাজকে চুরি করতে ইন্ধন যোগায়। মেহরাজ রাজি হলে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। প্রবেশের পর হারুনের সাথে মুন্সী মেম্বারকে দেখে মেহরাজ অবাক হয় এবং বুঝতে পারে ধর্ষণ করতেই তাকে দিয়ে চুরির নাটক সাজায়।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, চরজব্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।  

উল্লেখ্য, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে বসত ঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।

বিবার্তা/ইকবাল/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত