শিল্পী বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ, যোগ্যদের স্থানে অযোগ্যরা

| আপডেট :  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪২  | প্রকাশিত :  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪২


শিল্পী বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ, যোগ্যদের স্থানে অযোগ্যরা

সারাদেশ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি


শিল্পীদের আবৃত্তি-উপস্থাপনা বিষয়ে অডিশনে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্র আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। পছন্দের শিল্পীদের তালিকাভুক্ত করতেই লোক দেখানো অডিশনের আয়োজন করা হয়েছিল বলে দাবি অডিশনে অংশগ্রহণকারী একাধিক প্রার্থীর। এ নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের অভিযোগ, ঠাকুরগাঁও বেতার কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি তিন দিন ব্যাপী আবৃত্তি ও উপস্থাপনা বিষয়ে অডিশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রায় তিন শতাধিক আগ্রহী প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেন। অডিশনের তিনদিন পর ২১ জানুয়ারি ৩৩ জনকে উত্তীর্ণ উল্লেখ করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। উত্তীর্ণদের কয়েক জন ছাড়া অধিকাংশ অযোগ্য বলে দাবী করে স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাংস্কৃতিক কর্মী অভিযোগ করে বলেন, আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম তার পূর্বপরিচিত কয়েক জনকে বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী করার জন্য এই অডিশনের আয়োজন করে। এছাড়াও বেতার কেন্দ্রটি সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সত্তেও বেতার কেন্দ্রের ভিতরে আঞ্চলিক পরিচালক তার খাতিরের ব্যক্তি ও বহিরাগতদের নিয়ে রাতের বেলা প্রায় প্রতি মাসে ভুঁড়ি ভোজের আয়োজন করে থাকেন। এই খরচের অর্থ ব্যয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অডিশনে অংশগ্রহণকারী একাধিক প্রার্থী জানান, অডিশন হয়েছে শুধু নামমাত্র। পছন্দের কতিপয়দের তালিকাভুক্ত করতেই লোক দেখানো অডিশনের আয়োজন করা হয়েছিল। আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের অ্যালাউন্সার ক্লাবে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান।

তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের অ্যালাউন্সার ক্লাবের সভাপতি অনুপম মনি সাংবাদিকদের জানান, অডিশনে অনিয়মের বিষয়ে অসংখ্য অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর অভিযোগ করেছেন। আগে কেন্দ্রের অ্যালাউন্সার ক্লাবকে অডিশনের বিষয়ে অবহিত করা হতো, প্রতিনিধি নেওয়া হতো। এবার এত বড় অডিশন হলো আমরা জানতে পারিনি। আমাদের কোনো প্রতিনিধিও রাখা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে অডিশনের একজন বিচারক শিক্ষাবিদ মনতোষ কুমার দে জানান, বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। নিয়ম বা অনিয়ম সেখানকার অথরিটির বিষয়। কিছু জানার থাকলে সেখানে জানতে পারেন।

তবে সকল অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘যোগ্যদের নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ভয়েস রেকর্ড করা আছে। যাদের ভয়েস ভালো তাদের নেওয়া হয়েছে। বঞ্চিতরা অভিযোগ করতেই পারে।

আর সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও বেতার কেন্দ্রের ভেতরে নিয়মিত পিকনিকের বিষয়ে তিনি বলেন, বছরে দুই–একবার আয়োজন করা হয়ে থাকে, যার অর্থ নিজস্ব। রাতের বেলা পিকনিক নয়, খিচুরি পার্টির আয়োজন করা হয়।

বিবার্তা/মিলন/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত