ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় শিশুসহ নিহত ৭

| আপডেট :  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩৮  | প্রকাশিত :  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩৮


ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় শিশুসহ নিহত ৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনই শিশু। আঞ্চলিক গভর্নর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক নেটওয়ার্ক টেলিগ্রামের এক পোস্টে গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বলেন, দুর্ভাগ্যবশত খারকিভে দখলদারদের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু রয়েছে যাদের বয়স ৭ এবং ৪ বছর। এছাড়া অপর একটি শিশুর বয়স ছয় মাস বলে জানা গেছে।

এর আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ-নিয়ন্ত্রিত লিসিচানস্ক শহরের একটি বেকারিতে হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। হামলার শিকার ওই ভবনটিতে একটি রেস্টুরেন্টও রয়েছে। রুশ কর্মকর্তারা জানান, সেখানে হামলার ঘটনায় নারী, শিশুসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।

এর আগে ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল বিদ্যুৎ অবকাঠামো। এতে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

সে সময় ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায়, অন্তত ২৪টি ইরানি দিয়ে ড্রোন হামলা চালিয়েছে মস্কো। এসব হামলায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের অবকঠামোগুলো।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে আরও অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে হাঙ্গেরি। কিন্তু এবার তাদের আপত্তিকে পাশ কাটিয়েই কিয়েভকে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইইউর বাকি সদস্য দেশগুলো।

পরিকল্পনা অনুসারে, ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে ৩ হাজার ৩০০ কোটি ইউরো এবং অনুদান হিসেবে আরও ১ হাজার ৭০০ কোটি ইউরো দেওয়া হবে। আর এই অর্থ যাবে সরাসরি ইইউ’র তহবিল থেকে।

২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই কিয়েভকে অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি দেওয়া হয়েছে আন্তঃসরকার চুক্তির মাধ্যমে। এই পদ্ধতিতে অর্থ দিতে প্রতি বছর প্রত্যেক সদস্য দেশের অনুমোদন দরকার হয়। পদ্ধিতিটি ইইউ বাজেট ব্যবহারের তুলনায় অনেক বেশি জটিল।

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বর্তমানে ভয়াবহ অর্থ সংকটে রয়েছে ইউক্রেন। অতিরিক্ত সহায়তা না পেলে আগামী মার্চ মাস থেকে সাধারণ রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনার টাকাও থাকবে না কিয়েভের হাতে।

ইউক্রেনকে আরও অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বেশ কিছুদিন ধরে মার্কিন কংগ্রেসে আটকে রয়েছে। এর ফলে প্রধানতম মিত্র ও দাতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আশানুরূপ কিছু দেখছে না ইউক্রেন। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তাই বড় ভরসা হয়ে উঠেছে কিয়েভ সরকারের কাছে।

বিবার্তা/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত