মেডিকেলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গেলেন ইউএনও

| আপডেট :  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮  | প্রকাশিত :  ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮


মেডিকেলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গেলেন ইউএনও

সারাদেশ

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি


দিনাজপুরের প্রত্যন্ত খানসামা উপজেলা থেকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫ কৃতি শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া সেই শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টিমুখ করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তাজউদ্দিন। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ দিতেই এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

জানা যায়, এবছর খানসামা উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৫জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট পাড়া এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলামের ছেলে মোজাহেদুল ইসলাম বগুড়া মেডিকেলে, পাকেরহাট কারিগরি কলেজের শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের মেয়ে আসিফা জাহান আঁচল সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পশ্চিম হাসিমপুর এলাকার প্রাথমিক শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বাদলের মেয়ে মাহফুজা আক্তার শান্তু দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে, আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার শরিফ উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান বরাত রংপুর মেডিকেল ও ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের বেলপুকুর এলাকার সাদেকুল ইসলাম শাহ-এর মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন মিতু ময়মনসিংহ মেডিকেল ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে সদ্য চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মাহফুজা আক্তার শান্তু বলেন, দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফলে আমি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি৷ আজকে ইউএনও স্যার আমার সাথে দেখা করার জন্য এসেছেন এজন্য আমি সত্যিই আনন্দিত। সকলের এই ভালোবাসা আমাকে আগামীতে আরও অণূপ্রেরণা যোগাবে।

এদিকে ছেলের কৃতিত্বে নিজ বাড়িতে ইউএনও কে দেখে আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন সদ্য বগুড়া মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া মুজাহিদুল ইসলামের বাবা কাপড় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম।

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আজ আমার ছেলের সাফল্যের কারণেই ইউএনও স্যার মিষ্টি নিয়ে আমার বাসায় এসেছেন। এজন্য আমি পিতা হিসাবে গর্বিত। সকলের ভালোবাসায় ও যেন মানবিক ডাক্তার হয়ে সমাজের কল্যাণে কাজ করতে পারে।

ইউএনও মো.তাজ উদ্দিন বলেন, খানসামা উপজেলা থেকে যারা বিভিন্ন মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন তারা এই প্রজন্মের আইডল। সেই সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অনুপ্রেরণা যোগাতে তাদের বাসায় ফুল ও মিষ্টি নিয়ে গিয়েছি। এছাড়াও আগামীতে তাদের যেকোনো প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷

বিবার্তা/জামান/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত