ফের দুই স্তরে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু

| আপডেট :  ১১ মে ২০২২, ০৭:২৭  | প্রকাশিত :  ১১ মে ২০২২, ০৭:২৭

প্রশাসনে আবারও দুই স্তরে (যুগ্মসচিব ও উপসচিব) পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির জন্য সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) সভা মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য প্রত্যেক কর্মকর্তার কর্মজীবনের সব নথিপত্র আলাদাভাবে পর্যালোচনা করা হয়। বিশেষ করে প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা, দুর্নীতির বিষয়সহ সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপ সচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিতে নিয়মিত হিসেবে ২০তম ব্যাচকে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে ২১ তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের অভ্যন্তরীণ গোপনীয় প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী যোগ্য কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসকরা গত ৯ মে এর মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। তবে পদোন্নতির জন্য দুই ব্যাচকেই বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

প্রশাসন ক্যাডারের পাশাপাশি অন্যান্য ক্যাডার থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হবে। এ ছাড়া যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আগে পদোন্নতিবঞ্চিত বিভিন্ন ব্যাচের কিছু কর্মকর্তাকেও পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হতে পারে।

এবারের যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির জন্য উপসচিব পদমর্যাদার ৩৮৯ জন যোগ্য কর্মকর্তা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নিয়মিত ২০তম ব্যাচের নিয়মিত ২৪ জন কর্মকর্তা রয়েছে। একই ব্যাচের পদোন্নতিবঞ্চিত (লেফট আউট) ৫২জন, বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি বঞ্চিত ১৩৪ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারের ১৭৯ জন কর্মকর্তা বিবেচনায় রয়েছে।

এ পদে গত বছরের ২৯ অক্টোবর ২০তম ব্যাচের আংশিক পদোন্নতি দেয়া হয়। অবশিষ্ট কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য তথ্য চেয়ে পাঠায় মন্ত্রণালয়ের এপিডি শাখা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ, সিআর, শৃঙ্খলা এবং পিএসিসি শাখায় চিঠি পাঠানো হয়।

উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য আগ্রহী বা যোগ্য বিভিন্ন ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়ে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য ২৮ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের ৩৬৩ জন কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে নিয়মিত ব্যাচের রয়েছেন ১৬৪ জন। ইকোনমিক ক্যাডারের বিবেচনায় নেয়া হয়েছে ৪৫ জনকে। বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতিবঞ্চিত (লেফট আউট) ১৫৪ জন রয়েছেন।

চলতি বছরে অবসরজনিত কারণে সচিবের ১১ পদ ফাঁকা হচ্ছে। অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে ১১টি পদে নিয়োগ দেয়া হতে পারে। শূন্য হতে যাওয়া এসব পদ পাওয়া নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ। অবসরের সময় হওয়ায় কোনো কোনো সচিব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে চেষ্টা করছেন।

চলতি বছরে অবসরে যাবেন যারা:
আগামী ২২ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, ১৪ জুন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো: লোকমান হোসেন মিয়া, ২৬ জুলাই পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ৫ আগস্ট এনএসডিএ এর নির্বাহী চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা, ২৯ সেপ্টেম্বর ইরাকের রাষ্ট্রদুত মো: ফজলুল বারী, ৩০ সেপ্টেম্বর মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইয়ামিন চৌধুরী, ৩০ অক্টোবর জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো: আখতার হোসেন, ২ নভেম্বর জনপ্রশাসন সচিব কেএম আলী আজম, ৩১ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো: মামুন আল রশিদ, ৩১ ডিসেম্বর বিপিএটিসি এর রেক্টর রামেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ৩১ ডিসেম্বর বিমান পরিবহণ ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত