‘আদেশের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া আদালত অবমাননার শামিল’

| আপডেট :  ১১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩১  | প্রকাশিত :  ১১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩১


‘আদেশের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া আদালত অবমাননার শামিল’

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


কোটাবিরোধী আন্দোলনরত ঢাবির দুই শিক্ষার্থীর আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহ মনজুরুল হক বলেছেন, বিচারধীন বিষয়ে নির্বাহী বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে প্রশ্নের মুখে পড়বে। আর সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া আদালত অবমাননার শামিল।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আদালত প্রাঙ্গনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ব্যারিস্টার শাহ মনজুরুল হক বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে লাভ নেই। কেননা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা প্রশ্নের মুখে পড়বে। সুরাহা হবে আদালতেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাহী বিভাগ যদি কোনো কিছু করে বা প্রজ্ঞাপন দেয়, তাহলে সেটা তাদের এখতিয়ার বর্হিভূত হবে। প্রধান বিচারপতি গতকাল (১০ জুলাই) আদেশে উল্লেখ করেছেন, তারা তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল বিভাগের মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আজকেও বলেছেন, আদালতের দরজা তাদের জন্য খোলা।

সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ ও আহ্ববানের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াকে আদালত অবমাননা এবং নেপথ্যে ভিন্ন উদ্দেশ্য দেখছেন শাহ মনজুরুল হক।

আবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আজ প্রধান বিচারপতি বলেছেন, নির্বাহী বিভাগের যে কোনো আদেশ চ্যালেঞ্জ করার জন্য বিচার বিভাগের কাছেই আসে। তিনি বলেছেন, (প্রধান বিচারপতি) আপনি রাজনৈতিক নেতা ও পেশাজীবী নেতা হিসেবে আপনারও দায়িত্ব আছে, যারা আন্দোলন করছে তাদেরকে বোঝানোর জন্য যে, পুরো বিষয়টি আদালতের সামনে আসবে এবং আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।

এদিকে রাজপথে আন্দোলন করে কোটার সংকট সমাধান হবে না- একাধিকবার এ কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এদিনও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য থাকলে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আসার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ৯ জুলাই সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলে পক্ষভুক্ত হতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনকারী দুই শিক্ষার্থী হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আলসাদি ভূঁইয়া এবং আহনাফ খান। হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থাগিত চেয়ে আবেদন করতে আদালতের অনুমতি নেন ওই দুই শিক্ষার্থী।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত