ইসির মামলায় ডা. সাবরিনার বিচার শুরু

| আপডেট :  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০৭  | প্রকাশিত :  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০৭


ইসির মামলায় ডা. সাবরিনার বিচার শুরু

আইন আদালত

বিবার্তা প্রতিবেদক


তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি তৈরির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা প্রতারণা মামলায় ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এর ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত এ আদেশ দেন। এসময় আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন তিনি।

অভিযোগ গঠনের সময় ডা. সাবরিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. ওসমান গনি এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে এনআইডি জালিয়াতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছে এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করে অপরাধ করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত